শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি: জান্নাতুল শিফা। এবছর পটুয়াখালীর কলাপাড়া মহিলা কলেজের এইচ এস সি পরিক্ষার্থী। হতদরিদ্র তার পিতা কামাল তালুকদার বেশকয়েক কদিন আগে স্ট্রোক করে চিকিৎসাধীূন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে শুরু হয় এইচ এস সি পরিক্ষা। কলেজের শিক্ষকরা বলেছেন প্রবেশ পত্রের জন্য এক হাজার টাকা দিতে হবে। কিন্তু এ টাকার কথা শুনে হিমশিম খায় ওই শিক্ষার্থী। পরে পরীক্ষার আগ মূহুর্তে সে প্রবেশ পত্রের জন্য কলেজ ক্যাম্পাসে এসে কান্না জুড়ে দেয়। এক পর্যায়ে কলেজের অধ্যক্ষ এসে তাকে আশ্বাস দিলে পরে ওই শিক্ষার্থী কলেজ থেকে কোন প্রকার টাকা ছাড়াই প্রবেশ পত্র সংগ্রহ করে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, এ বছর এ কলেজ থেকে ১৫৮ জন এইচ এসসি শিক্ষার্থী পরিক্ষা দিচ্ছে। এদের কাছ থেকে অতিরিক্ত প্রবেশ ফি বাদব ১ হাজার টাকা ও বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য ২০০ টাকা নির্ধারন করে কলেজ কতৃপক্ষ। শিক্ষকদের অভ্যন্তরিন কোন্দল ও টাকা উত্তোলনের বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বরিশাল অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন জানতে পারেন এবং তারই নির্দেশনায় কলেজ কতৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত প্রবেশ ফি বাবদ উত্তোলনকৃত টাকা ফিরিয়ে দেয়া হয়।
একাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের কাছে প্রবেশ পত্রের জন্য ১০০০ টাকা ও বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য ২০০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। পরে ওই টাকা ফেরৎ দেয়া হয়েছে।
কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. বাহাউদ্দিন বলেন, অধ্যক্ষ সাহেব ফোন করে জানিয়েছেন যে, কলেজ মেইনটেন্যান্সের জন্য এডমিট বিতরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কিছু টাকা নেবেন। কতটা এবং কিভাবে নিবেন এ ব্যাপারে আমি আসলে অবগত নই।
কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন ফারুক গনমাধ্যমকে বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক মহোদয়ের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সার্টিফিকেট ও প্রশংসাপত্র বাবদ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা নেয়া হয় যার রশিদ সকল শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়। এ রশিদ বইয়ের মুড়ি কতিপয় শিক্ষক চুরি করে নিয়ে যায় বলে অধ্যক্ষ জানান। এবং কলেজের সকল উত্তোলিত টাকা সাথে সাথে কলেজের ব্যাংক হিসাব নম্বরে জমা দেওয়া হয়। তিনি আরো জানান, কতিপয় শিক্ষকদের অহেতুক দস্যুপনার কারনে কলেজের সুনাম এখন নষ্ট হওয়ার পথে এবং তাদের এ চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।