রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: সম্প্রতি সরকার মজুরি কাঠামো পুননির্ধারণের পর টানা সাত দিন আন্দোলন শেষে আজ সোমবার কাজে যোগ দিয়েছেন সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। তবে আশুলিয়ায় প্রায় ১০টি কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশের পর ফের বাইরে বেরিয়ে আসে।
রবিবার সরকার মজুরি কাঠামোতে কিছুটা পরিবর্তন এনে তা ডিসেম্বর মাস থেকে কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দেওয়ার পর সোমবার সকাল হতেই সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে দল বেঁধে শ্রমিকদের কারখানায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে। তবে সকাল ৯টার দিকে আশুলিয়ায় টঙ্গী-আশুলিয়া-ডিইপিজেড সড়কের ইউনিক, জামগড়া, বেরন, ও নরসিংহপুর এলাকার হা-মীম গ্রুপ, শারমিন গ্রুপ, এনভয় ও উইনডিসহ বেশ কিছু নামি-দামী ও বড় বড় প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা কাজে যোগদানের পর আবারো বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। পরে তারা শিল্পাঞ্চলের জামগড়া ছয়তলা এলাকায় সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সঙ্গে আলাপ করে সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়।
পুলিশ হ্যান্ড মাইকে শ্রমিকদের উদ্দেশে বলছেন, যেসব শ্রমিকরা কাজ করবেন তারা কারখানার প্রবেশ করেন। আর কাজ না করতে চাইলে বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য আহ্ববান জানান। এছাড়াও মহাসড়কে বিশৃঙ্খলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে কিছু শ্রমিক কারখানায় প্রবেশ করলে বাকি শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে যায়।
তবে আন্দোলন চলাকালীন তাদের বেতন দেওয়া হবে না জানার পর শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হয়ে আসে বলে জানিয়েছে শ্রমিকরা। খাদিজা বেগম, রিপন ও মনিরা বেগম বলেন, তাদের নামমাত্র বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। কারখানা থেকে বের আসা প্রসঙ্গে মিতালী বেগম (২২) নামে একজন নারী শ্রমিক বলেন, বিক্ষোভ চলার সময় কারখানা বন্ধ থাকে। তাই যে কয়দিন কারখানা বন্ধ থাকবে সে কয়দিনের বেতন দেবে না বলেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। তাই তারা বের হয়ে এসেছে। জসিম নামের অপর এক শ্রমিক বলেন, ‘আমাদের বেতন তো বাড়াইছে শুনলাম, কিন্তু কেন যে আবার সবাই রাস্তায় বের হয়ে আসলো বুঝলাম না। সকলে চলে আসছে তাই আমিও তাদের সঙ্গে বের হয়ে আসছি।’ রেহানা নামের আরেক শ্রমিক ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকরা আহত হলো তার তো কোনো বিচার পাইলাম না। এটার কি হবে।’
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান জানান, সকালে আশুলিয়ায় অধিকাংশ কারখানায় স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়। কিন্তু সকাল ৯টার দিকে জামগড়া, নরসিংহপুর ও বেরন এলাকায় অন্তত ১০টি কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এসব কারখানার কর্তৃপক্ষ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছেন বলেও জানান তিনি। এদিকে যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।