শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০২:২৫ অপরাহ্ন
বরিশাল: বিরোধপূর্ন জমিতে ধানচাষকে কেন্দ্র করে দেলোয়ার হোসেন তালুকদার (৭০) নামের এক মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এসময় কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আহত করা হয়েছে আরও চারজনকে। হলেন জুয়েল, সোহাগ, বিপ্লব ও রোজিনা। তাদেরকে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকালে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার আটিপাড়া এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত দেলোয়ার হোসেন একই এলাকার মৃত হাশেম তালুকদারের ছেলে। খবর পেয়ে বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপার সহ রেঞ্জ এবং জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পাশাপাশি এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারে টিম গঠন করেছে থানা পুলিশ। নিহতের মামাতো ভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবেশী আজগর ও জলিল সিপাহীদের সাথে মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে ধান লাগানোকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিরোধে জড়ায় দুই পরিবার। এর জের ধরে আজগর ও জলিল সিপাহীসহ তাদের পরিবারের ৮-১০ জন মিলে দেলোয়ার হোসেন তালুকদার ও তার পরিবারের লোকেদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এসময় দেলোয়ার হোসেন সহ পাঁচজনকে তারা এলোপাথারী কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি চারজনকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. মাহাবুবর রহমান ক্রাইমসিনকে বলেন, ‘মারামারির ঘটনায় গুরুতর আহত পাঁচজনকে সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। যিনি মারা গেছেন তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক জখম রয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়না তদন্ত করে জানা যাবে।
এ কারণেই বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপার স্যারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। দুপুর ১টার দিকে তারা উজিরপুরের ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের স্বজন এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেছেন।