বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৯:০৮ অপরাহ্ন
উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরের সাতলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চেয়ারম্যান গ্রুপের ২ যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নগদ ৩লক্ষ টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়েছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ ও আহত সুত্রে জানা যায় উপজেলার সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ খায়রুল বাশার লিটন ৯ এপ্রিল দুপুরের দিকে ঘেরে পোনা মাছ ছাড়ার জন্য পূর্ব সাতলা গ্রামের সাজাহান বালীর ছেলে তাজিম মোল্লা(২০) ও উত্তর সাতলা গ্রামের মৃত সহিদ বালীর ছেলে মৎস ঘের কমিটির সদস্য জসিম উদ্দিন বালী(৩৯) কে পাঠালে তারা মোটর সাইকেল যোগে ওই এলাকায় ১টার দিকে ঘেরের পারে পৌছামাত্র সাবেক চেয়ারম্যান মৃত আঃ খালেক আজাদের ছেলে প্রভাবশালী মনির মিয়ার নেতৃত্বে একই গ্রামের মানু মিয়ার ছেলে জলিল মিয়া(৪০),খলিল মিয়া(৩৫),মৃত মালেক মিয়ার ছেলে মিন্ট মিয়া(২৫),ফারুক মিয়ার ছেলে রিফাত মিয়া(২০),আব্বাস হাওলাদারের ছেলে নাইম হাওলাদার(৩০),রাশেল মিয়া(৩৫)সহ একদল ভারাটিয়া সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করে পোনা মাছ ক্রয়ের নগদ ৩ লক্ষ টাকা ও একটি মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে প্রানে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে চলে যায়। ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয়রা আহত ২ যুবককে উদ্ধার করে উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। উল্লেখ্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘটনার দিন উজিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আহতরা জানান ওই হামলাকারী সন্ত্রাসীদের কাছে একাধিক সংখ্যালঘু পরিবার জিম্মি। তাদের ভয়ে মুখ খুলছেনা সাধারনরা। তারা এলাকায় চাঁদাবাজ নামে সুপরিচিত। এই ইউনিয়নে হিন্দু-মুসলমান অধিকাংশ মানুষ মাছের ব্যবসায় নিয়োজিত। ওই ভূমিদস্যু চাঁদাবাজদের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে পরেছে ব্যবসায়ীরা। অন্যের জমি দখল ও চাদাঁবাজী তাদের নেশা ও পেশা। এদিকে হামলাকারীদের বিচারের দাবীতে অধিকাংশ মানুষ জোট বেধেছে। এছাড়াও তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পরিত্রান চায় ইউনিয়নবাসী। অভিযুক্তরা বিষয়টি এড়িয়ে যায়। উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউল আহসান জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ওই হামলাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার।