বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১০:৪৭ অপরাহ্ন
হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী সংবাদ দাতা: আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি রয়েছেন কয়েকটি গ্রামের সাধারণ জনগণ এমনটাই খবর পাওয়া যায়।
খোজ নিয়ে জানাযায়, আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে, আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে ঘোপখালি বালিয়াতলী ও পসরি বুনিয়া এলাকায়, প্রভাবশালী মরহুম সাবেক চেয়ারম্যান ও তার সহধর্মিণীর পৃষ্ঠপোষকতায় গরে উঠে এই বাহিনী। এদের তান্ডবে দিশেহারা স্থানীয় বাসিন্দা।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কাওছার তালুকদার নিজের আপন মামাকে হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে গ্রামে ফিরে ডাকাতি সহ না অপকর্ম শুরু করেন তার প্রতিবেশী জানান, কাওসার ডাকাতি মামলায় কয়েকবার গ্রেফতার হন,কিন্তু আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেরিয়ে আসেন কাওসার,তার এই অপকর্মের সাথে যুক্ত রয়েছেন নয়া তালুকদার, (আর্মি থেকে চাকরিচ্যুত) সহ আরো কয়েকজন ,এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন, সহিদুল তাং পিতা ছালাম তালুকদার,মহিন তাং পিতা সামসুল হক তালুকদার,ফরহাত তালুকদার পিতা জব্বার তাং,বসার আকন পিতা রশিদ আকন,জহির প্যাদা পিতা ফারুক প্যাদা,মোঃ জহিরুল ইসলাম পিতা আলী পেসকার,জাহাঙ্গীর খান পিং মৌজেআলী খান,মিলন হাং পিতা ছয়জদ্দি হাওলাদার,মাসুম তালুকদার পিতা হাই তালুকদার।
স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের নেতা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন,আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নটি একটি মাদকের আখড়া বানিয়েছেন এরা এখানে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক, গাজা,ইয়াবাসহ সব রকমের মাদক মিলছে এই ইউনিয়নে,এই আওয়ামী লীগ নেতা আরো বলেন।এরা অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত নয় কিন্তু তারপরও তারা আওয়ামী লীগের নাম বিক্রি করে অপকর্ম করে যাচ্ছে সেল্টার দিচ্ছে স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতা । এতে আওয়ামী লীগের মান সম্মান প্রতিনিয়ত ক্ষুন্ন হচ্ছে।জানা জায় এরা সবাই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকসেবী।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে আরো বলেন, কাওসার এবং নয়া নবম শ্রেণিতে পরা অবস্থায় ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজার কে কুপিয়ে টাকা ছিনতাই দিয়ে তাদের অপরাধ জগতে পা রাখা, বর্তমানে এই দুই জনের নেতৃত্বে শুধুমাত্র আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে গরে উঠেছে দেশী ও বিদেশি অস্ত্র সহ ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ।
এদের নিয়ন্ত্রণে চলে এলাকার মাদক সিন্ডিকেট,ইয়াবা, গাঁজা নিজেরাই সেবন করে এবং বিভিন্ন এলাকার মাদক বিক্রেতাদের কাছে পাইকারি বিক্রি করে। এলাকাবাসী বলেন।
আবুল গাজি,নাসির শরীফ,এবং আনোয়ারের বাসায় আসে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকের চালান । সাধারণ জনগণ বলেন এর সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন বর্তমানে আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন তারই ধারাবাহিকতায় .. বৃহস্পতিবার ২৫ মার্চ প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালায় কাওসারের সন্ত্রাসী বাহিনী .. এতে গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয় ৪ জনকে ।
এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারনে এলাকায় জনগণ জিম্মি,হামলার ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে কেউ সাহস করছেন না,ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ এই অত্যাচার থেকে নিস্তার চায়, এবং আইনি সহায়তা চেয়ে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের জোড় হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা।