শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০১ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: রবিবার একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটকে বিতর্কিত করতে পুরনো ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর চট্টগ্রামের একটি কেন্দ্রে আগে থেকে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার বিষয়টি সঠিক হলেও সেখানে ভোট বন্ধ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসিকে টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবারের একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটের পর বিবিসি এই প্রথম তার সঙ্গে কথা বলেছে।
রবিবারের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি-জামায়াত জোটকে বলতে গেলে উড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা। ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনের চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তারা। বিএনপি-জামায়াত জোট পেয়েছে কেবল সাতটি আসন। আর তাদের সমর্থনে জিতেছেন স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী। আর আওয়ামী লীগ ও তার শরিকরা পেয়েছে ২৮৮টি আসন।
বিবিসি বাংলা ভোটের দিন বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যাতে ভোটে বাধা দানসহ অনিয়মের অভিযোগ ছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী বিদেশি গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতকে মনোনয়ন দেওয়া আর ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতি, জঙ্গি তোষণ, সাংগঠনিক শক্তির অভাব, নেতৃত্বে দুর্বলতার কারণে হেরেছে বিএনপি।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিবিসি জানতে চায়, চট্টগ্রামের একটি ভোটকেন্দ্রে আগে থেকেই বাক্সে ভরে রাখা ব্যালটের বিষয়ে। প্রশ্নটি ছিল, ‘নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এসেছে। বিবিসি ভোট কারচুপির একটি ভিডিও ফুটেজ এসেছে- ভোট শুরুর আগেই বাক্স ভরা ব্যালট পেপার দেখা গেছে। আপনি মনে করেন -এটি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মনে হয় আপনি একটি ভিডিও ফুটেজ দেখেছেন। কিন্তু আপনি কী দেখেছেন সেখানে কী লেখা আছে,
কোথাকার ব্যালট বাক্স সেগুলো?’
বিবিসি: সেটা আমরা জানি না। কিন্তু আমরা একটা ভিডিও করতে পেরেছি। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এ ধরনের খবর এসেছে।
শেখ হাসিনা: ওইটা এই নির্বাচনের ফুটেজ না। ওইটা অতীতের নির্বাচনের ঘটনা। আমার ধারণা, সেটা মেয়র নির্বাচনের সময়কার। তখন গণনার জন্য ব্যালটবাক্স নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই ছবিটা প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু এখানে এমন কোন ঘটনা ঘটেছে বলে আমি বিশ্বাস করি না।
বিবিসি: প্রধানমন্ত্রী, এটি আসলে চট্টগ্রাম থেকে বিবিসির রিপোর্টারের তোলা নতুন ফুটেজ।
শেখ হাসিনা : হ্যাঁ, সেটা সঠিক ….শুধুমাত্র চট্টগ্রামেরটা ঠিক ছিল।
কিন্তু বাকিটা ফ্যাব্রিকেটেড, অনেক পুরান ভিডিও ছড়ানো হয়েছে। কোনো ধরনের
অভিযোগ আসলেই নির্বাচন কমিশন দ্রুত সেই কেন্দ্রে ভোট বাতিল করে দেয়।
সেখানেও নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। কোন ধরনের অনিয়ম হলে, সঙ্গে সঙ্গে ওই
কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে দেয়া হয়। কখনো কোনো ঘটনা ঘটতে পারে, তবে আমরা
ব্যবস্থা নেই। অনিয়ম গ্রহণযোগ্য নয়।