বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স :গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে কয়েদি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি তদন্ত কাজ। তবে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে আরো দুই সদস্য বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন এ খবর জানান।
তিনি জানান, আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার পর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরপর তদন্ত কমিটি তদন্ত কাজ শুরু করে এবং তদন্তের প্রাথমিক কাজ শেষ করা হয়। তবে তদন্তের চূড়ান্ত কাজ শেষ হয়নি। তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে পরে গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও মন্ত্রণালয় থেকে একজন করে দুই সদস্য এই তদন্ত কমিটিতে বাড়ানো হয়েছে। তদন্ত শেষ করতে এ কমিটিকে নির্দিষ্ট কোন সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি।
কয়েদি কীভাবে পালিয়েছে জানতে চাইলে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।
গত ৬ আগস্ট গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক (৩৫) পালিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কারা কর্তৃপক্ষ। ৮ আগস্ট সকালে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি কারাগারে পৌঁছায় এবং তদন্ত কাজ শুরু করে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন, ডিআইজি প্রিজন মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং মানিকগঞ্জ কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান। এছাড়া নতুন করে গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও মন্ত্রণালয় থেকে একজন করে দুইজন সদস্য কমিটিতে বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে তদন্ত কমিটির সদস্য ৫ জন।
পালিয়ে যাওয়া কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গত ৭ আগস্ট কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মোহাম্মদ বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৫) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার তেথের আলী গাইনের ছেলে।
কয়েদি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কারাগারে দায়িত্ব পালনের অবহেলায় ১২ জন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ৫ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।