রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
বরিশাল নগরীতে সুদের টাকা না পেয়ে এক ব্যবসায়িকে মারধর , দোকান লুটপাট ও তালা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। করোনার মহামারির সময়ে দোকান বন্ধ থাকায় দুই মাস টাকা পরিশোধ করতে না পারায় এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, বরিশাল নগরীর রুপাতলী হাউজিং এলাকায়।
জানাগেছে, নগরীর রুপাতলী হাউজিং এলাকায় মেসার্স তারিকুল স্টিল হাউজের স্বত্তাধিকারী তারিকুল ইসলাম দির্ঘ দিন যাবত ওই এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ব্যবসার জন্য তিনি নগরীর সাগরদী এলাকার এনায়েত হোসেন পান্নার কাছ থেকে ২০১৯ সালে ৫০ হাজার টাকা সুদের বিনিময়ে নেন। এর জন্য তারিকুল প্রতিমাসে এনায়েত হোসেন পান্নাকে ৫ হাজার টাকা করে লাভ দিতেন।
গত তিন মাস করোনার মহামারির কারনে তারিকুল লাভের টাকা দিতে না পারায় সুদ ব্যবসায়ী এনায়েত হোসেন পান্না ও তারই দোকানের ম্যনেজার খান মাসুদ ও অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন মিলে গত ২২ জুন তারিকুলকে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তারিকুলকে উদ্ধারি করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল করেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তরিকুলের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সুযোগে এনায়েত হোসেন পান্না ও তার দোকানের ম্যনেজার খান মাসুদ দোকানের তালা ভেঙে বেশ কয়েকটি চেক বই ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তারিকুল দোকানে ছুটে গেলে এনায়েত হোসেন পান্না ও তার সহযোগীরা রাতের আঁধারে তারিকুলকে ধরে নিয়ে জোর পূর্বক একটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে সাক্ষর করান। এছাড়াও তার দোকানের উপরে থাকা বড় একটি সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে যায়। এঘটনায় তারিকুল বরিশাল কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী তারিকুল বলেন, এনায়েত হোসেন পান্নার কাছ থেকে আমি ব্যবসা পরিচালনার জন্য ৫ হাজার টাকা সুদে ৫০ হাজার টাকা ধার নেই। আর খান মাসুদ আমার দোকানে ম্যনেজার হিসেবে কাজ করতো। পরে আমি জানতে পেরেছি এনায়েত হোসেন পান্না ও খান মাসুদ বাকেরগঞ্জের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। বর্তমানে খান মাসুদ এনায়েত হোসেন পান্নার সাথে নিয়ে আমার দোকানের পার্টনার দাবি করছে। এরা আমাকে বিভন্ন ভাবে হুমকী ধামকী দিচ্ছে। করোনার মধ্যে অনেকদিন লকডাউন থাকায় দোকান বন্ধ ছিলো। তাই টাকা পরিশোধ করতে পারিনাই। আর এখন তারা আমার দোকানে তালা মেরে দিয়েছে এখন আমি পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছি।
এবিষয়ে খান মাসুদ হোসেন মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।