সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৬ অপরাহ্ন
বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাদের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ১৮৬ জন ব্যক্তি ছাড়পত্র পেয়েছে। আর গত ২৪ ঘন্টায় ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে মাত্র ৪০ জনকে। পাশাপাশি নতুন করে ২৪ ঘন্টায় বরিশাল নগর ব্যতিত বিভাগের ৬ জেলায় ৫১৮ জনেক হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে বরিশালে প্রবেশ করেছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ৬ হাজার ৬৬৫ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
যার মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো ৬ হাজার ২৪০ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ১৮৬ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে থাকা ৪১৫ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ২২ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগের ৬ জেলায় ৫১৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে প্রেরণ করা হয়েছে এবং গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল ও পটুয়াখালী ব্যতিত বাকি ৪ জেলায় ৪০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র বরিশাল জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৪ জনকে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে, তবে ছাড়পত্র দেয়া হয়নি কাউকে।
এরবাহিরে বিভাগে এ পর্যন্ত ৬৫ জন রোগী আইসোলেশনে চিকিৎসা নেয়ার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হন, যারমধ্যে ৩১ জনকে এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার মধ্যে এ পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগিসহ বরিশালে ১৫, পটুয়াখালীতে ২, পিরোজপুরে ৪, বরগুনায় ৫ ও ঝালকাঠিতে ৪ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া গেছে, তবে ভোলা জেলায় কারো আক্রান্ত হওয়ার খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, পর্যন্ত বরিশালের মুলাদীতে, পটুয়াখালী জেলার দুমকি ও বরগুনা জেলার আমতলীতে ১ জন করে ৩ জন ব্যক্তির করোনায় মৃত্যু হয়েছে। যদিও এর আগে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া ২ রোগির করোনা রিপোর্ট নেগিটিভ আসে। পাশাপাশি আজ শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ডে আরো ১ জনরে মৃত্যু হয়েছে যার নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।