শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বরিশাল বিভাগে ১ হাজার ৯শত ৯৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪৮৬ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আনা হয়েছে। যা আগের ২৪ ঘণ্টার থেকে কিছুটা বেড়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে ৪১১ জনকে আনা হয়েছিল।
সোমবার (২৩ মার্চ) বেলা ১২ টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিভাগের ছয় জেলার হিসাব অনুযায়ী, বরিশালে নতুন ৩৯ জনসহ ৩৯৫ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ৩০৭ জনসহ ৫৮৭ জন, ভোলায় নতুন ২৪ জনসহ ২৭২ জন, পিরোজপুরে নতুন ৫৪ জনসহ ৩০৩জন, বরগুনায় নতুন ৪৪ জনসহ ২৬৪ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ১৬ জনসহ ১৬১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় নতুন ২ জনসহ ১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
এদিকে বিভাগে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন শেষ করেছেন ২৮৬ জন এবং গত ২৪ ঘন্টায় শেষ করেছেন ১৩৬ জন। কোয়ারেন্টিন থেকে মোট ছারপত্র পাওয়াদের মধ্যে বরিশাল জেলায় ৯১ জন, পটুয়াখালীতে ৬৪ জন, পিরোজপুরে ৩৬ জন, বরগুনায় ৬৩জন ও ঝালকাঠিতে ৩২ জন রয়েছে।
বাসুদেব কুমার জানান, কোয়ারেন্টিনে থাকা ১৯৯৪ জনের অধিকাংশই প্রবাসী। এছাড়া বরগুনা ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন থাকা ৩ জন রোগীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। আর বরিশাল বিভাগে এখন পর্যন্ত কারো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকজনদের পর্যবেক্ষণ করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মী। পাশাপাশি এদের সবাইকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার কাজে জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সহায়তা করছে। আমরা ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যায়ে আমাদের সার্সিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আর সেবক-সেবিকা, চিকিৎকসহ সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তায় পারসোনাল প্রটেকশন সরঞ্জাম এরইমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্টদের শঙ্কার কোনো কারণ নেই।
তিনি আরো জানান, স্বর্দি-কাশি ও জ্বরের রোগীকে দেখার জন্য আলাদা ব্যবস্থা হাসপাতালগুলোতে করা হয়েছে। টিকেট কাউন্টারে গেলেই এ বিষয়ে তথ্য জানাযাবে।