বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন
সারাদেশে সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে একযোগে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তিন হাজার ৫১২টি অংশ নেবে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী।
গত ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) এই পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন পেছানোর কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে নেওয়া হয়।
প্রথম দিন সকালে এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র ও সহজ বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হবে।
আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে কুরআর মাজিদ ও তাজবিদ এবং কারিগরি বোর্ডে ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৯২১) (সৃজনশীল) (নতুন সিলেবাস/পুরাতন সিলেবাস) এবং বাংলা-২ (১৭২১) (সৃজনশীল) (নতুন সিলেবাস/পুরাতন সিলেবাস) এবং বিষয়ের পরীক্ষা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় তেজগাঁও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে পরিদর্শন করবেন বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসএসসি ও কারিগরির তত্ত্বীয় এবং ১ মার্চ পর্যন্ত দাখিলের তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চের মধ্যে ব্যবহারির পরীক্ষা হবে।
এ বছর ২৮ হাজার ৮৮৪টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেবে। ৯টি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে এবার ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ জন পরীক্ষা দেবে। এরমধ্যে ৭ লাখ ৯১ হাজার ৯১৮ জন ছাত্র এবং ৮ লাখ ৪৩ হাজার ৩২২ জন ছাত্রী।
দাখিলে এবার ২ লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন এবং এসএসসি ভোকেশনালে ১ লাখ ৩১ হাজার ২৮৫ জন পরীক্ষা দেবে।
এ বছর ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৮৮ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সঙ্গে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৩২৫ জন অনিয়মিত এবং ২ লাখ ৮২ হাজার ৫৯৪ জন বিশেষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। এছাড়া বিদেশের আটটি কেন্দ্রে ৩৪২ জন শিক্ষার্থী এসএসসিতে অংশ নেবে।
প্রতিবারের মতো এবারও বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশের উত্তর আগে দিতে হবে। পরে নেওয়া হবে সৃজনশীল/রচনামূলক অংশের পরীক্ষা।
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এরপরে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল, প্রবেশের সময়, দেরি হওয়ার কারণসহ সবকিছু রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এমএমএস এর মাধ্যমে প্রশ্নের সেটকোড জানিয়ে দেওয়া হবে।
কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা যায় না এমন একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে।
আর অটিস্টিক পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বেশি দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
এবার বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সব বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল পদ্ধতিতে হবে।
নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে পাওয়া নম্বর অনলাইনের বোর্ডে পাঠাবে।
প্রশ্ন ফাঁসরোধে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।