শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
মহিপুরে স্ত্রী’র স্বীকৃতির দাবিতে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর অনশন সরকারি সুবিধা প্রদানের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইউপির সদস্যের বিরুদ্ধে মানববন্ধন একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়ে একদিকে যেমন আনন্দ অন্যদিকে ঘোর অন্ধকার কুয়াকাটায় উৎসবমুখর পরিবেশে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত কলাপাড়ায় ৯ হাজার ৪৭০ জন কৃষককে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ অসহায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পাশে  ‘লাভ ফর ফ্রেন্ডস’ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সদর উপজেলা যুবদলের ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প বঙ্গোগসাগরে ঘূর্নিঝড় মোন্থা,পায়রা বন্দরে ০২ নম্বর হুশিয়ারী সংকেত মহিপুরে রাখাইন শিশুদের অংশগ্রহণে বাতিঘর’র বৃক্ষ রোপণ বাউফলে বিএনপি নেতা তসলিম তালুকদারের বিরুদ্ধে ভূমিহীনদের মানববন্ধন বরিশালে প্রায় দেড় কোটি টাকার নকল সিগারেট জব্দ গণ ধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনের ফাঁসির আদেশ ময়নাতদন্ত রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও আদালতে হত্যা মামলায় চার্জশিট গলাচিপায় ৬ পরিবার ভিটে বাড়ি ছাড়া নগরীতে প্রবাসী স্ত্রীর জমি দখলে প্রতিপক্ষ মরিয়া বসতঘর ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগে মামলা বাংলাদেশ বানীর শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু
রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি-চিকিৎসা করানোর নামে প্রতারণা

রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি-চিকিৎসা করানোর নামে প্রতারণা

Sharing is caring!

ভর্তি ও চিকিৎসা করানোর নামে রোগীর সঙ্গে প্রতারণা করার সময় এক পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল প্রশাসন।

জানা গেছে, ওই প্রতারক হাসপাতালের উপ-পরিচালকের এক রোগীর কাছ থেকে ভর্তির কথা বলে ৬ হাজার টাকা নেন।

এরপর বিনামূল্যের ওষুধের জন্য ১০ হাজার টাকা এবং অপারেশনের জন্য ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনাকালে ধরা পড়েন তিনি।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) শেবাচিম হাসপাতালের উপ-পরিচালকের হস্তক্ষেপে শামীম হোসেন নামের ওই পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়। পরে তাকে হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা থানা মেট্রো পুলিশের সদস্যের কাছ তুলে দেওয়া হয়।

আটক শামীম ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার উত্তমপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং বরিশাল আরআরএফ পুলিশের সদস্য।

প্রতারণার শিকার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজীরহাট থানাধীন সন্তোষপুর গ্রামের বাসিন্দা মকবুল হোসেনের স্ত্রী রাখি খানম (২৪) জানান, গত ৭ জানুয়ারি পিত্তে পাথরজনিত সমস্যা নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হতে আসেন তিনি। একটু সুযোগ-সুবিধার আশায় পূর্ব পরিচিত পুলিশ সদস্য শামীমকে হাসপাতালে ডেকে আনেন।

রাখি আরও জানান, শামীম পুলিশ সদস্য এবং সরকারি লোক হওয়ায় কম খরচে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে চিকিৎসা করানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এজন্য তিনি ভর্তির রেজিস্ট্রারে নিজের স্বামীর নাম এবং ঠিকানার পরিবর্তে শামীমের নাম-ঠিকানা লেখান। ওই পরিচয়ে জরুরি বিভাগ থেকে ভর্তির সময় বিনামূল্যের টিকেট নেন শামীম। কিন্তু ভর্তিসহ আনুসাঙ্গিক খরচের জন্য ওই রোগীর কাছ থেকে আদায় করে নেন ৬ হাজার টাকা। পরবর্তীতে হাসপাতালে প্যাথলজি এবং রেডিওলজিতে রাখির বিনামূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান শামীম। বিনিময়ে আদায় করে নেন আরো আড়াই হাজার টাকা।

সর্বশেষ দ্রুত অপারেশন এবং ওষুধ ক্রয়ের জন্য পৃথকভাবে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন পুলিশ পরিচয়ের আড়ালে থাকা প্রতারক শামীম। এর মধ্যে অপারেশনের জন্য ২০ হাজার টাকা চান তিনি। বিষয়টি নিয়ে রোগীর স্বজনদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তারা চিকিৎসকদের সঙ্গে অপারেশনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে প্রতারণার বিষয়টি আঁচ করতে পারেন। পরে রোগীর গ্রামের বাড়ির প্রতিবেশী শেবাচিম হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. ইউনুসের স্মরণাপন্ন হন তারা। এর পরপরই ধরা পড়ে যান শামীম।

এ বিষয়ে হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল জানান, ঘটনাটি সমাধান করা হয়েছে। পরীক্ষাবাবদ যে টাকাটা পুলিশ সদস্য শামীম নিয়েছেন, সেটা ফেরত দেওয়া হয়েছে এবং তার (শামীম) বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD