রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন
ইউপি নির্বাচনে সকল ইউনিয়নে প্রার্থী দেয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
জাতীয় নির্বাচনে সকল আসনে অংশ নেয়ার পর এবার ইসলামী আন্দোলনের টার্গেট ৪২০০ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ৩৮০০০ ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত পাকা করেন তারা।
নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষিত এবং তরুণদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।অগ্রহায়ণে অনুষ্ঠিত চরমোনাই মাহফিলে ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম এ ঘোষণা দেন। এক সভায় দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিশ্চিত করেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান জানান,আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে দেশের সবকটি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিতে সকল নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতবছর ৩০ ডিসেম্বর প্রহসনের নির্বাচন পরবর্তী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় আগামী সিটি কর্পোরেশনসমুহের নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কিছুটা সংশয় ছিল। আন্দোলনের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীরসাহেব চরমোনাইর ঘোষণার মধ্য দিয়ে চলমান সংশয় কেটে যায়।গতবারই প্রথম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় ভাবে প্রার্থী দেয়।
গতবার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকায় সারাদেশে প্রায় ১০০০ ইউনিয়নে প্রার্থী দেয়া হয়। এবার দলটি পরিকল্পনা করেছেন সারাদেশে ৪ হাজার ২০০ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ৩৮ হাজার ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী দেয়ার।
মাহফিল থেকে ঘোষণা পাওয়ার পর সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে কর্ম তৎপরতা বৃদ্ধি এবং ফুরফুরে ভাব শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানান,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটি গণমুখী রাজনৈতিক দলে হিসেবে সর্বসাধারণের নিকট নেতৃত্ব পৌঁছে দিতে হলে স্থানীয় নির্বাচনের বিকল্প নাই। এ নীতিকথা তারা বুঝতে পেরেছে বলে মনে করছে রাজনীতিক বিশ্লেষকরা।
ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায় থেকেই তৃণমূলের প্রকৃত নেতৃত্ব তৈরি করতে হলে আপামর জনসাধারণের সাথে নেতাকর্মীদের আন্তরিক সম্পর্ক সৃষ্টি এবং দলীয় প্রতীকের ব্যাপক পরিচিত অর্জন করা একটি রাজনীতিক দলের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।গণমানুষের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাংগঠনিক নেটের আওতায় যে ৫০ হাজার তৃণমূল নেতা তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কাজে লাগিয়ে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায় এমনটা দাবী দলটির নেতাকর্মীদের।
আন্দোলনের মূল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের সকল জেলা, উপজেলা, থানা এবং ইউনিয়ন শাখাগুলো এখন থেকেই সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য ইতিমধ্যে দলটির আমীর জোরদার নির্দেশনা জারি করেন। সকল পর্যায়ে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নেতৃবৃন্দকে ঊর্ধ্বতন শাখার নির্দেশনা অনুসরণ করে শিক্ষিত এবং অপেক্ষাকৃত তরুণ শ্রেণীকে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানান ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা।
আনুষ্ঠানিক ভাবে আমীরের ঘোষণার পর তৃণমূলের সকল শাখা নতুনভাবে উজ্জীবিত হবে এবং আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।