সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কুয়াকাটায় পর্যটক হেনেস্তাকারী যুবদল সভাপতি বহিষ্কার টুরিষ্ট ভিসায় জেল খেটে বিদেশ ফেরত মকছুদ।কলাপাড়ায় দুই  প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা কলাপাড়া বিএনপির সাবেক সভাপতি’র দলবদল কলাপাড়ায় খাল থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চরশিবা সাংগঠনিক ইউনিয়ন শাখার উদ্দ্যোগে  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত স্প্রেইড হিউম্যানিটির উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে নিখোঁজের ৫দিন পর লাশ উদ্ধার শ্রমিকদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রাষ্ট্র হচ্ছে দেবী দুর্গার দশ হাতের মতো-ব্যারিস্টার ফুয়াদ বরিশাল গোরস্থান রোডের রাস্তা ও ড্রেনের সংস্করণের দাবিতে মানববন্ধন বাউফলে ‘খেলাফত মজলিস’ উপজেলা শাখার কমিটি গঠন কলাপাড়ায় মাহেন্দ্র-মোটর সাইকেলে মুখোমুখি সংঘর্ষে শিক্ষকের মৃত্যু শেখ হাসিনার গুলিতে শুধু ছাত্র নয়, শুধু জনতা নয়, শ্রমিকদেরও রক্ত গেছে আল কারীম কওমী মাদরাসার নতুন ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন মেহেন্দিগঞ্জে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ ও বর্নাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত
বাজির ৮ হাজার টাকার জন্য খুন হন রুহুল

বাজির ৮ হাজার টাকার জন্য খুন হন রুহুল

Sharing is caring!

গত ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ‘ভারত বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি’ খেলা নিয়ে বাজি ধরে আট হাজার টাকার জন্য খুন হন বরিশাল নগরের আমানতগঞ্জ এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত রুহুল আমিন। এ ঘটনার চারদিন পর হত্যারহস্য খুঁজে বের করেছে পুলিশ।

বুধবার (৬ নভেম্বর) বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নিয়েছেন অভিযুক্ত সুমন।

আদালতে তার জবানবন্দি নথিভুক্ত করেছেন বিচারক মো. আনিছুর রহমান। জবানবন্দি শেষে সুমনকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সুমন বরিশাল নগরের বেলতলা ইসলামিয়া কলেজ সংলগ্ন বাবুল মিয়ার ভাড়াটিয়া মকবুল হাওলাদারের ছেলে।
সুমন তার জবানবন্দিতে জানায়, সে ও রুহুল আমিন পূর্ব পরিচিত। গত ৩ নভেম্বর ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি খেলা নিয়ে বাজি ধরেন তার দুইজন। খেলায় বাংলাদেশের পক্ষে সুমন ও ভারতে পক্ষে রুহুল আমিন ৮ হাজার টাকা বাজি ধরেন। খেলায় বাংলাদেশ জয়ী হলে রুহুলের কাছে বাজির আট হাজার টাকা দাবি করে সুমন। কিন্তু টাকা না দিয়ে চলে যায় রুহুল।

পর দিন ৪ নভেম্বর আমানতগঞ্জ কসাই বাড়ির পুল সংলগ্ন এলাকায় রুহুলকে পেয়ে ফের আট হাজার টাকা দাবি করে সুমন। এ সময় ওই টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সুমনকে থাপ্পর দেয় রুহুল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সঙ্গে থাকা ছুড়ি দিয়ে রুহুলকে আঘাত করে পালিয়ে যায় সে। বুধবার সুমন আদালতে এভাবেই হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে হত্যার ঘটনায় ওই দিনই রুহুল আমিনের বাবা পলাশপুরের ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ আলি মুন্সি বাদী হয়ে সুমনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, রুহুল আমিন ঢাকা ফিলিপস কোম্পানিতে চাকরি করতো। গত ২৮ অক্টোবর চাকরি ছেড়ে বরিশাল আসে। পরে বাজার রোডে প্রিয় ভান্ডারের সেল্সম্যান পদে চাকরি নেয়। সুমনের সঙ্গে রুহুল আমিনের পূর্ব থেকে টাকা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। ৪ নভেম্বর বিকেলে রুহুল আমিন ওই এলাকা থেকে ফেরার পথে সুমনকে পাওয়ায় তার কাছে পাওনা টাকা চায়। এতে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে রুহুলকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সুমন পালিয়ে যায়। পরে রুহুলকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিমে) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় মামলার পরপরই ৫ নভেম্বর সুমনকে পটুয়াখালী থেকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD