সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
দুর্নীতির বিশাল এক রহস্য জাতীয় পরিচয় পত্র স্মার্ট কার্ড বিতরনে অভিযোগ পাওয়া গেছে, হারানো আইডি কার্ড ফিরে পেতে ৩৬৮ টাকা ব্যাংক ড্রাফ নিয়মের সঠিক আইনকে ব্যাবহার করে নির্বাচন কমিশনকে সচ্ছতা দেখিয়ে একপ্রকার সবার চোখের সামনে পাবলিকের কাছ থেকে নেয়া কোটি কোটি টাকার কোন ডকুমেন্ট না দিয়ে খুব চালাকির সাথেই স্মার্ট বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছে সরকারের রাজস্ব খাতকে। কার্ড বিতরনকারীরা এসব টাকা জমা না দিয়ে নিজেদের পকেটে ভারি করছে বলে জানা গেছে।
কোন প্রকার মোবাইল ম্যাসেজ আর টাকার রিসিভ পাচ্ছে না ভুক্তভূগী সাধারন জনগন। এনিয়ে মাঠ পর্জায় কাজ করা কর্মীদের কাছে সঠিক কোরও তথ্য নেই । ব্যাংক ড্রাফের কাজটি করছে বরিশালের কোন এক ডার্চ বাংলা ব্যাংক মোবাইল এজেন্ট। অনুসন্ধান টিম ঘটনা স্থানে গেলে, ঐ ব্যাক্তি নিজেকে প্রথমে একজন ডাচ্ বাংলা ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয় দেন,পরে মিডিয়াকে কোন প্রকার তথ্য না দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় মিথ্যে ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয় প্রদানকারী রাজীব । এরপরে তার মুঠোফোনে ফোন দিলে মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসলো অজানা সকল রহস্যের ঘটনা। রাজিব ব্যাংক ড্রাফ করছে তিনি একজন ব্যাংক কর্মকর্তা নয় সে বরিশাল পার্থ কম্পিউটার দোকানের মোবাইল ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এজেন্টের একজন কর্মচারী।
কে এই পার্থ তিনি কি করেন ? অনুসন্ধানে যানা যায়, সে একজন ডার্চ বাংলা ব্যাংক মোবাইল এজেন্ট পার্থ কম্পিউটার নামে একটি দোকানের মালিক শুধুমাএ। আরো জানায় সরকারি চুক্তি অনুযায়ী এই কাজ করছে কিন্তু তার সাথে কারো চুক্তি নেই সে বিভাগীয় নির্বাচন অফিসারকে ম্যানেজ করে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসারের সাথে কথা বলে এ কাজ চালাচ্ছে বলে সূএে যানাযায়। বরিশাল বাটাজোর নামক স্থানে সে একজন দোকানদার বলে জানায় এবং সে বরিশালের একজন সংবাদ কর্মীর মাধ্যমে এ কাজ করেছেন বলে জানা যায়।
এবিষয়ে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে প্রশ্ন করলে তিনি গনমাধ্যেকে বলেন আমি দিন শেষে টিম লিডার যে ডকুমেন্ট আমাকে দেন আমি তাই পটুয়াখালী জেলা নির্বাচন অফিসারকে জমা দেই,এ ব্যপারে জেলা স্যার ভাল বলতে পারবেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার জিয়াউর রহমান খলিফার কাছে বিষয়টি জানতে গেলে তিনি এবার সচ্ছতা আছে বলে জানান, এবং প্রতিটা ইউনিয়নে কার্ড বিতরনের সময় সরকারী নিয়ম অনুযায়ী কোনলোক থাকার নিয়ম আছে কিনা তখন জেলার নির্বাচন অফিসার জিয়াউর রহমান(খলিফা) প্রতিবেদককে জানান, নিয়ম আছে কিন্তু সময় সল্পতার কারনে আমাদের লোক থাকতে পারছে না বলে যানান ।ডকুমেন্ট হিসেবে ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখান যাতে প্রতিটি ইউনিয়নের হারানো স্মার্ট কার্ড বিতরনের ৩৪৫ টাকা ও ব্যাংক ভ্যাট ৬ টাকা উল্লেখ রয়েছে বাকি ১৪ টাকা কমিশনে কাজ করছে ডার্চ বাংলা মোবাইল ব্যাংক এজেন্টের লোক। অথচ মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানে গেলে জানাযায়, যাদের কার্ড হারানো গিয়েছে অথবা ভুল হয়েছে কিংবা ২০১৫-২০১৭ ইং সালে ভোটার হয়েছিল এরপরে লেমেনিটিং কার্ড নেয়নি যারা সকলেই ৩৬৫ টাকা দিয়েছে কিন্তু ব্যাংক ড্রাফ অনুযায়ী টাকা জমা হলে নির্বাচন কমিশনের ১০০০ নাম্বার থেকে প্রত্যেক গ্রাহকের মোবাইলে একটি ফিরতি এস,এম,এস আসবে। অথচ বেশীরভাগ জনগন অভিযোগ করেন তাদের কোন মোবাইল নাম্বার নেয়নি এমনকি ডাচ্ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং চালানে নাম্বার লেখা হয়না, গ্রাহক এস,এম,এস পাবে কোথায়। আর ব্যাংক ড্রাফের রিসিভ দিয়ে আবার তা রেখে দেয় টিম লিডার সোহেল। বিষয়টি সোহেল এর কাছে জানতে গেলে সম্পুর্ন অস্বীকার করে বসে। এলাকার প্রভাব খাটায়,আরো জান যায় ব্যাংক ড্রাফের টাকা লোপাট করতে তারা কোন গ্রাহকের টাকার রিসিভ কিংবা গ্রাহকের মোবাইলে কোন এস,এম,এস, দেয় না। দিনশেষে তাদের মনগড়া হিসাব ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দেয় উপজেলা নিবাচন অফিসারকে। আর এই হিসাব গড় মিল করতেই কোন ডকুমেন্ট দিচ্ছে না গ্রাহকে।এনিয়ে নির্বাচন অফিসের কোন দিধাও নেই আর কার্ড বিতরনে উপস্থিত থাকছে না নির্বাচন অফিসের কোন প্রতিনিধি। এটা কি তাদের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে নাকি তারা সেই সুযোগ নিচ্ছে? নাকি নির্বাচন অফিসকে আগেই ম্যানেজ করে তারা নিজেদের কার্যক্রম চালাচ্ছে?প্রশ্ন তাহলে নির্বাচন অফিসে নেই কেন হারানো কিংবা বিতরন ও ব্যাংক ড্রাফের আলাদা আলাদা হিসাব। কোন রেজিস্টার খাতায় হিসাব লেখা নেই বিতরনকারীদের কাছে নাকি আছে যাহা মিডিয়ার কাছে গোপন করছে কিন্তু কেন?
গোলখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিনের ও অভিযোগ জনগন কেন টাকার রিসিভ পাবেনা মোবাইলে কোন এসএমএস না আসলে টাকাটা সরকারি খাদে যাচ্ছে নাকি তার প্রমান কি? বিষয়টি তিনি পটুয়াখালী জেলা-প্রসাশকে জানিয়ে বরিশাল বিভাগীয় নির্বাচন অফিসার মোঃ আলাউদ্দিন এর কাছে মুঠোফোনে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি এক প্রকার রাগ ও ক্ষোপের সহিত বলেন, কোন টাকার রিসিভ পাবেনা জনগন শুধু একটি ফিরতি এস,এম,এস থাকবে সকল গ্রাহকের মোবাইলে। অথচ বিগত দিনে যে সকল গ্রাহকের মোবাইলে এস,এম,এস,আসেনি সেই টাকা কোথায় গেলো এমন প্রশ্ন এখন অনুসন্ধানী টিম ক্রাইমসিন২৪.কম ও সকল জনগনের। সঠিক তথ্য চিত্র খুব শীগ্রই তুলে ধরবে অনুসন্ধানি টিম। আর আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে ভিজিট করুন : www.crimeseen24.com
আপনার চারপাশে ঘটা সকল দুর্নিতি ও অপরাধ মুলক কাজের তথ্য আমাদের দিয়ে সহযোগিতা করুন,যা আমরা আমাদের লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরবো আপনাদের সামনে।