শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে নিন্মমানের ইট ব্যবহার করে চলছে গ্রামীন সড়ক টেকসইকরনের লক্ষ্যে হেরিং বোনবন্ড (এইচবিবি) প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ের উন্নয়ন মুলক কাজ।
অভিযোগ রয়েছে ভেকু মেশিন দিয়ে রাস্তা খনন করে নাম মাত্র বালু ফেলে রোলার বিহীন তার উপরে পঁচা ইট দিয়ে উন্নয়ন মুলক কাজটি করা হয়েছে।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে সরেজমিন পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুজার মোঃ ইজাজুল হক। তিনি পরিদর্শনে অনিয়ম দূর্নীতির প্রমান পাওয়ার ভিত্তিতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ স্থগিত রেখে সঠিক নিয়মে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন ।
এছাড়াও গত ১৯/০৫/২৫ ইং তারিখ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ আলী সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।পরে লিখিত নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে কাজ বন্ধ করার জন্য বলেছেন ঐ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে।
জানাগেছে, প্রশাসনের নির্দেশনা ও প্রকল্প কর্মকর্তার চিঠি অগ্রাহ্য করে কাজ চালাচ্ছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। দাপ্তরিক সুত্রে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায়-২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ‘গ্রামীন মাটির রাস্তা টেকশইকরনের লক্ষ্যে (এইচবিবি) দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের আওতায় ১ কিলোমিটার হেরিং বোনবন্ড রাস্তার কাজে সর্বমোট ৮০ লক্ষ ১ হাজার টাকা দরে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়।
টেন্ডারের মাধ্যমে গাজী এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি পেয়েছেন ঠিকাদার মোঃ নুরুজ্জামান গাজী। অনিয়মের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে জানাগেছে, প্রশাসনের নির্দেশনার পর সাইদুল ইসলাম নামের স্থানীয় একজন সংবাদকর্মীকে নিয়ে একটি কুচক্রী মহল দূর্নীতি ধামাচাপা দিতে অফিস ম্যানেজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
পুনরায় কাজ সঠিকভাবে না করেই বিল উওোলন করার পায়তারা চালাচ্ছেন। এছাড়াও লেবার সরদার জসিম প্যাদা বলেন সংবাদকর্মী সাইদুল ইসলাম ও স্থানীয় লোকজন গিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করে এসেছে এরপর ঠিকাদারের নির্দেশে আমরা কাজ শুরু করেছি।
সংবাদকর্মী ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনিয়ম দূর্নীতি ধামাচাপা দিতে পারে বলে এ নিয়ে জনমনে শংকার সৃষ্টি হয়েছে। অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী নুরুজ্জামান গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজটি তার লাইসেন্সেই হচ্ছে তবে সাব-কন্ট্রাক্টর আমির হাওলাদার ও জুয়েল নামে দুইজন ঠিকাদার কাজ করছেন।
তিনিও শুনেছেন কাজে অনিয়ম দূর্নীতি হচ্ছে সেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজার মোঃ ইজাজুল হক বলেন, অনিয়ম দূর্নীতি করে কাজ করার কোন সুযোগ নাই।
যদি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সঠিক কাজ করে আসতে পারেন তবে তার পাওনা বিল তুলতে পারবেন। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল নিয়মে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন রাজনৈতিক কিংবা অপশক্তি নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবে না বলে জানান তিনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, সরেজমিনে গিয়ে ২-৩ নাম্বার ইট দিয়ে কাজ করার প্রমান পাওয়া গেছে। এছাড়াও পূর্বের মাটির রাস্তার সমমান দেখাগেছে। বালু দিয়ে রোলার না করে হেরিং বোনবন্ড কাজ করা হয়েছে।
অফিসিয়ালভাবে নোটিশ দিয়ে কাজ বন্ধ করে পুনরায় সঠিক নিয়মে ভালো মালামাল দিয়ে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে।
সাব-কন্ট্রাক্টর জুয়েল ও আমির হাওলাদার এর বক্তব্য নিতে তাদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে, জুয়েল বারবার ফোন রিসিভ করে বিভিন্ন তালবাহানা করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।