শনিবার, ১২ Jul ২০২৫, ০৬:৫০ অপরাহ্ন
কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক মৎস্য ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মারধর করে তার কাছে থাকা ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা লুট করে। এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দেয়ার হুমকির অভিযোগে লতাচাপলী ইউনিয়ন শ্রমীকদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ১৬ মার্চ দুপুরে উপজেলার মহিপুর থানাধীন আলীপুর বাজার সংলগ্ন থ্রি পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. মশিউর রহমান মহিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
পরে বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে শ্রমিক দল নেতাকে মহিপুর থানা পুলিশের একটি টিম নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ পত্র ও ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, পটুয়াখালীর বাউফলের বাসিন্দা মশিউর একজন মৎস্য ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়ীক কাজে তিনি আলীপুর থাকেন। ঘটনার দিন তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে থ্রি পয়েন্ট এলাকায় আসলে হঠাৎ কয়েকজন মিলে তাঁকে হাত, পা বেধে আলীপুর টোলপ্লাজা সংলগ্ন আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়।
সেখানে ৫-৭ জনের একটি টিম তাঁকে মারধর শুরু করেন এবং তার সাথে থাকা নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার ও এটিএম কার্ড নিয়ে যায়। কার্ড দ্বারা ২০ হাজার এবং মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে তাঁর আত্মীয় স্বজন থেকে ফোন করে ৬০,০০০/- টাকা নিয়ে নেয়।
টাকা দেওয়ার আগ মুহুর্তে তাঁকে শারীরিক নির্যাতন চালায় ও তাঁকে বিবস্ত্র করে ছবি তুলেন এবং ভিডিও ধারণ করেন। অভিযুক্তরা পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অন্যত্র নারীদের ভিডিও কল করে তাঁকে উলঙ্গ করে দেখায়।
ভুক্তভোগী মশিউর রহমান জানান, আমাকে মারধর করার কারণে আমার শরীরে যখম বয়ে বেড়াচ্ছি। আমাকে উলঙ্গ করে ভিডিও করে রেখেছে যা নিয়ে আমি সার্বক্ষণিক সামাজিকভাবে হেও হওয়ার সঙ্কায় রয়েছি। তাই আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মহিউদ্দিন মুসুল্লি সুলতান জানান, একজন ব্যবসায়ী’র সাথে এ ধরনের আচরণ আমি এবং আমার দলের অপছন্দীয় কাজ। দলের সিদ্ধান্ত পরিপন্থী কোনো কাজের দায়ভার দল নিবে না।
তাই তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এ ব্যপারে খোঁজ নিচ্ছে দল, ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছি। তাকে আজ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মোয়াজ্জেম হোসেন কলাপাড়া
১০.০৪.২০২৫