শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কুয়াকাটায় পর্যটক হেনেস্তাকারী যুবদল সভাপতি বহিষ্কার টুরিষ্ট ভিসায় জেল খেটে বিদেশ ফেরত মকছুদ।কলাপাড়ায় দুই  প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা কলাপাড়া বিএনপির সাবেক সভাপতি’র দলবদল কলাপাড়ায় খাল থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চরশিবা সাংগঠনিক ইউনিয়ন শাখার উদ্দ্যোগে  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত স্প্রেইড হিউম্যানিটির উপদেষ্টা পরিষদ গঠন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে নিখোঁজের ৫দিন পর লাশ উদ্ধার শ্রমিকদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রাষ্ট্র হচ্ছে দেবী দুর্গার দশ হাতের মতো-ব্যারিস্টার ফুয়াদ বরিশাল গোরস্থান রোডের রাস্তা ও ড্রেনের সংস্করণের দাবিতে মানববন্ধন বাউফলে ‘খেলাফত মজলিস’ উপজেলা শাখার কমিটি গঠন কলাপাড়ায় মাহেন্দ্র-মোটর সাইকেলে মুখোমুখি সংঘর্ষে শিক্ষকের মৃত্যু শেখ হাসিনার গুলিতে শুধু ছাত্র নয়, শুধু জনতা নয়, শ্রমিকদেরও রক্ত গেছে আল কারীম কওমী মাদরাসার নতুন ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন মেহেন্দিগঞ্জে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ ও বর্নাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত
বনশ্রী স্বর্ণ ডাকাতি মামলায় বাউফলের দুই সোনার ছেলে গ্রেফতার

বনশ্রী স্বর্ণ ডাকাতি মামলায় বাউফলের দুই সোনার ছেলে গ্রেফতার

Sharing is caring!

মো.আরিফুল ইসলাম বাউফল প্রতিনিধি :

ঢাকার বনশ্রী এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ ডাকাতির চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত ৬ জনের মধ্যে দুইজন হলো পটুয়াখালীর বাউফলে ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা আমিনুল ইসলাম ও অন্যজন শ্রমিক দলের নেতা সুমন মোল্লা।

এর মধ্যে আমিনুল পেশাদার ডাকাত। এর আগেও তাকে দেশীয় অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্রসহ ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (০৮মার্চ) গ্রেফতারকৃত দুজনকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হলে স্থানীয় ভাবে খোঁজ নিয়ে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়।

আমিনুল ইসলাম বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার বাসিন্দা ইকবাল মৃধার ছেলে। তিনি উপজেলা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সদস্য। অন্যজন সুমন মোল্লা একই ইউনিয়নের পাশের গ্রাম আয়নাবাজ কালাইয়ার বাসিন্দা শাহজাহান মোল্লার ছেলে।

তিনি কালাইয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সহ-দফতর সম্পাদক। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এরআগে ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল একাধিক ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলো।

একের পর এক ডাকাতির ঘটনার পর জেলা পুলিশের কয়েকটি টিমের যৌথ তদন্তে আন্তঃবিভাগ ডাকাল দল শনাক্ত হয়। অভিযান চালিয়ে ২০২৩ সালের ৯নভেম্বর আমিনুলসহ ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

ডাকাত দলকে আশ্রয় দেয়াসহ অস্ত্রের জোগানদাতাও ছিলেন আমিনুল। পটুয়াখালী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিতে এসব অভিযোগ স্বীকার করেছিল আমিনুল।

বিভিন্ন সূত্রে থেকে ওই দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তাদের পরিচয় জানাতে গিয়ে কেউ নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে ব্যস্ত থাকতেন আমিনুল ইসলাম। স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পরিচিত ও প্রভাবশালী নেতা তিনি।

এদিকে আমিনুল গ্রেফতারের পর তার সাথে সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ. স.ম ফিরোজ, আ’লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক আ,স,ম ফিরোজের পুত্র রায়হান সাকিব, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ আওয়ামী নেতার সঙ্গে একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাউফল উপজেলা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক হাসান মাহমুদ মঞ্জু বলেন, আমি ওনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না।

উনি কমিটিতে কিভাবে আসলো বলতে পারি না। তবে ইউনিয়ন শ্রমিকদলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে বহিষ্কারের জন্য। ইতিমধ্যে কার্যক্রম চলছে। বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম বলেন, আমিনুল পেশাদার ডাকাত এবং তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এর আগেও তাকে দেশীয় অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছিল।

মো. আরিফুল ইসলাম বাউফল প্রতিনিধি

তারিখ-০৯/০৩/২৫ইং

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD