বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন, একইসঙ্গে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দুই উপলক্ষকে উদযাপন করতে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। সমুদ্রের ঢেউ আর ভালোবাসার আবেগ মিশে তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজারো পর্যটক এই দিনে প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে উপভোগ করছেন সমুদ্রসৈকতের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য। বিপুল পরিমাণ পর্যটকের উপস্থিতিতে খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। সৈকতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিচকর্মী, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ডরা নিয়মিত কাজ করছেন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের প্রধান বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে অনেকেই ফুল, উপহার ও বেলুন হাতে সাগরপাড়ে সময় কাটাচ্ছেন। কেউবা হলুদ শাড়ি ও পাঞ্জাবি পরে মেতে উঠেছেন ছবি তোলার আনন্দে।
হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে চলছে বিশেষ আয়োজন।
কফিশপ ও রেস্তোরাঁগুলোও দম্পতি ও তরুণ-তরুণীদের উপচে পড়া ভিড়ে মুখর।
ঝালকাঠি থেকে আসা পর্যটক মুনির হোসেন বলেন, “ভালোবাসার দিনটা বিশেষভাবে কাটাতে এখানে এসেছি। সমুদ্রের ঢেউ আর প্রিয় মানুষ, সব মিলিয়ে দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
খুলনা থেকে আসা নবদম্পতি রুদ্র ও সীমা বলেন, “আমাদের বিয়ের পর প্রথম ভালোবাসা দিবস কাটাচ্ছি এখানে। কুয়াকাটা আসার অনুভূতি সত্যিই অন্যরকম। সৈকতের বাতাস আর ঢেউয়ের শব্দ সময়টাকে আরো রোমান্টিক করে তুলেছে।
শুধু প্রেমিক-প্রেমিকাই নয়, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে সময় কাটানো দারুণ ব্যাপার। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পায়রা রেস্টুরেন্টের মালিক রেজাউল করিম জানান, এ বছর বসন্ত ও ভালোবাসা দিবসের মিলিত উৎসবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। বসন্তের বাতাস আর ভালোবাসার উষ্ণতা মিলিয়ে এখানকার পরিবেশ হয়ে উঠেছে স্বপ্নীল ও রঙিন।
কুয়াকাটা ইলিশ পার্ক এন্ড রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, “বসন্তের শুরুতে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল আমাদের জন্য ইতিবাচক। আশা করছি, গ্রীষ্মকালেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে, যা এখানকার পর্যটন শিল্পকে আরো চাঙ্গা করবে।”
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন’র সভাপতি কে এম বাচ্চু বলেন, “দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে আমরা রাত-দিন কাজ করছি। কোনো পর্যটক যাতে হয়রানির শিকার না হন এবং গভীর পানিতে নামার ঝুঁকি না নেন, সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের কুয়াকাটা রিজিয়নের কর্মকর্তা নাদিম মাহমুদ বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সার্বক্ষণিক সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।
বিচকর্মী, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ডরা পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত আছেন। কারো অভিযোগ কিংবা তথ্যের প্রয়োজন হলে সমুদ্রসৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে তথ্য ও অভিযোগ কেন্দ্র সেবা দিচ্ছে।
মোয়াজ্জেম হোসেন কলাপাড়া