কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে “এফবি মা” নামের একটি মাছ ধরা ফিশিং ট্রলারে জলদস্যুদের হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছ। হামলায় ৩ জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে পায়রা বন্দর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে এ ঘটনা ঘটে। জলদস্যুদের গুলিতে আহত জেলেরা হলেন-জালাল শরীফ (৫৫), মো: শাহআলম (৪৫), মিজানুর রহমান (২৫)। এদের সকলের বাড়ি কলাপাড়ার মহিপুর থানার বিভিন্ন গ্রামে।
গতকাল দুপুরে আহতদের উদ্ধার করে কলাপাড়া ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জালাল শরীফের অবস্থা সংকটপন্ন হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বাকি দুজন কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জালাল শরীফের ডান চোখে গুলি লেগেছে, বাকি দুজনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলির চিহ্ন রয়েছেন।
“এফবি মা” ট্রলারের মাঝি সরোয়ার হোসেন জানান, ১৩ জন জেলে নিয়ে মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে গিয়েছিলাম, গতকাল রাতে তীরে ফেরার পথে পায়রা বন্দর এলাকায় পৌঁছালে একদল জলদস্যু তাদের ট্রলারে বন্দুক দিয়ে ছররা গুলি চালান।
তাদের গুলিতে ট্রলারে থাকা ৩ জেলে গুলিবিদ্ধ হন। এসময় বাকি জেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রলারে থাকা প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যের ইলিশ, ১২ টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, জ্বালানী তৈলসহ আনুষাঙ্গিক প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
পরে তারা প্রাণ ভিক্ষা এবং ট্রলারটি না নেওয়ার অনুরোধ জানালে দস্যুরা মালামাল নিয়ে চলে যান। ফেরার সময় এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান। গতকাল (৭ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১২ টার দিকে মহিপুর মৎস্য বন্দরে এসে ট্রলার মালিককে বিষয়টি অবগত করেন মাঝি।
এ বিষয়ে মহিপুর মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন দাস বলেন, এফবি মা নামের একটি ট্রলারে জলদস্যুদের ডাকাতির ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করছি।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোয়াজ্জেম হোসেন
কলাপাড়া