কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যুবদল নেতা নজির আকন। বুধবার(১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টা কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এসময় কুয়াকাটা পৌর যুবদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নজির আকনের পক্ষে তার ভাইয়ের ছেলে জহিরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে পাঠ করে বলেন, আমি মোঃ নজির আকন। আমি কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সদস্য হিসেবে সক্রিয় রাজনীতি করছি।
আপনারা জানেন যে, গত ১৫ অক্টোবর অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট, বিডি ক্রাইম ও আঞ্চলিক দৈনিক মতবাদ প্রত্রিকায় আমাকে জড়িয়ে ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশির হয়েছে।
সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের উপস্থাপিত তথ্যের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। এমনকি আমার অনুসারি কেউ জড়িত নেই।
সংবাদে উল্লেখিত বসত ঘরে হামলা, চাঁদা দাবী ও মারধরের যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। প্রকৃতপক্ষে স্থানীয়ভাবে কোন বসত বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও কাউকে আহত করার মতো ঘটনা ঘটেনি।
বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য, পৌর বিএনপি’র নেতারা অবগত আছেন। আমার বিরুদ্ধে কোথাও কোন অভিযোগ নেই। তার পরও একটি কুচক্রিমহল সংবাদ কর্মীদের ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহ করে আমার বিরুদ্ধে সাংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন। আমি উক্ত সংবাদে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আমার বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদানকারী সাদ্দাম শিকদার ও তার বড় ভাই আউয়াল শিকদার এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু। তাদের প্রতিষ্ঠিত সাদ্দাম বাহিনীর প্রধান সাদ্দাম শিকদার ও তার ভাই আউয়াল শিকদার আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছসেবক লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
তারা বিগত পনের বছর আওয়ামী লীগের ক্ষমতা অপব্যবহার করে এবং মহিপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের এর সাথে সখ্যতা পুঁজি করে এলাকার সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে আসছিলো।
অসহায় ও গরীব শ্রেণীর মানুষের সম্পত্তি ভয় ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন কোম্পানীর নিকট নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য করে কোটি কোটি টাকা আত্যসাৎ করেছেন। তারা অবৈধ ক্ষমতার দাপটে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন।
এমনকি সরকারি খাল থেকে বালু বিক্রয় করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছেন। তাদের অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ছিলো। অদৃশ্য শক্তির ক্ষমতার ভয়ে মানুষ মুখ খুলতে পারেনি।
আমি সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলায় চক্রটি আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। আপনারা সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধান করলে প্রকৃত তথ্য বের করতে পারবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
উল্লেখ্য ১৫ অক্টোবর নজির আকনের বিরুদ্ধে ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল ও আঞ্চলিক পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়।
মোয়াজ্জেম হোসেন
কলাপাড়া
১৬-১০-২০২৪।