বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন ডেক্সঃ
শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলার অভিযোগে করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির ১২ নেতাকর্মী জামিনে মুক্ত হয়েছেন।রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পাবনা জেলা কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেলা সুপার মো. নাসির উদ্দিন প্রধান। এর আগে বিকেল থেকেই পাবনা জেলা কারাগারের সামনে জড়ো হতে থাকেন ঈশ্বরদীর বিএনপি নেতাকর্মীরা। সন্ধ্যার দিকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
এসময় নেতাকর্মীরা তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। সেই সঙ্গে জেল কারাগারের সামনে এ ১২ নেতার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে আনন্দ মিছিল নিয়ে পাবনা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে যান নেতাকর্মীরা। সেখানে জামিনপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, সদস্য সচিব মাসুদ খন্দকার, যুগ্ম আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ মাসুম বগাসহ জেলার শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কারামুক্তরা হলেন- আলাউদ্দিন বিশ্বাস, ইসলাম হোসেন জুয়েল, আনোয়ার হোসেন জনি, ইঞ্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন, মোহাম্মদ বরকত, হাফিজুর রহমান মুকুল, আবুল কাশেম, সিমুয়া শামসুর রহমান, মোহাম্মদ লিটন মাল, ফয়সাল রিজিয়া রনো, মোহাম্মদ এনাম এবং আজাদ হোসেন খোকন।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ঈশ্বরদীর কারাবন্দি ৪৭ বিএনপি নেতাকর্মীর মধ্যে ৩০ নেতাকর্মীকে জামিন দেন।
৩০ বছর আগে ১৯৯৪ সালে
তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে মামলায় হয়। গত ২০১৯ সালের ৩ জুলাই এ মামলায় চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত সরকারের ফরমায়েশি রায় দেন পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক রুস্তম আলী।
এ রায়ে স্থানীয় বিএনপির মোট ৫২ জন নেতাকর্মীর মধ্যে নয়জনকে ফাঁসি, ২৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগের যৌথ বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। শুনানি শেষে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নয় আসামি বাদে ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত ১২ জন ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৮ জনকে জামিন দেন আদালত।
আজ ১২ জন মুক্তি পেলেন। বাকিরা রাজশাহী কারাগারে থাকায় তাদের সোমবার জামিনে মুক্তি দেওয়া হতে পারে। বিচার চলাকালে চারজন এবং রায়ের পর কারাগারে তিনজন মারা গেছেন।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন হুমায়ুন কবির দুলাল সরদার।