শনিবার, ১২ Jul ২০২৫, ১০:১১ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কলাপাড়ায় পাঁচ কিমি কাঁচা সড়কে হাঁটুজল দুর্ভোগে পথচারীরা কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ১১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি কুয়াকাটায় জলবায়ু মোকাবেলায় রাখাইন জনগোষ্ঠীর প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ সভাপতি জাবেদ, সম্পাদক সোয়েব।।ঢাকাস্থ কলাপাড়া জাতীয়তাবাদী ফোরামের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত জাগুয়া ইউনিয়ন বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন পটুয়াখালীতে ৪টি বিদ্যালয়ে এসএসসি  পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি ১ জনও বাউফলে টানা বৃষ্টিপাতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ দুর্ভোগে জনজীবন কলাপাড়ায় গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ পেল সাংবাদিক পুত্র নূর বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী উদ্বোধন কলাপাড়ায় উন্নত চিকিৎসা দিতে অসুস্থ সাপের এক্সরে লন্ডনে “ গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তারেক রহমান শীর্ষক” আলোচনা সভায়: জহির উদ্দিন স্বপন কলাপাড়ায় জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে সংবর্ধনা কলাপাড়ায় মসজিদ-মন্দির উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা লোপাটের অভিযোগ পুলিশের মৃদু লাঠিচার্যে সড়ক ছেড়েছে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষার্থীরা কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সাথে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতার মতবিনিময়
বোনের মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে স্বামী, দুই সন্তান নিয়ে না খেয়ে দিন পাড় করছে রাবেয়া

বোনের মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে স্বামী, দুই সন্তান নিয়ে না খেয়ে দিন পাড় করছে রাবেয়া

Sharing is caring!

কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক মেয়ে সহ দুই সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে নতুন সংসার গড়তে ভায়রাজ্বিকে নিয়ে বাড়ি ছেড়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ইউনুস সরদার (৩১)।
উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস সরদার।
চর-চাপলী এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম সরদারের ছেলে।
বর্তমানে সাদিয়া (৯) সে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও ৩ মাসের আরো একটি কন্যা সন্তান রেখে যাওয়ায় বিপাকে তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম।
জানা যায়, ওই এলাকার পাশাপাশি বসবাস করে আসছে ইউনুস ও ওই মেয়ের পরিবার।
দীর্ঘদিন একইস্থানে থাকায় তাঁদের মধ্যে খালু-ভায়রাজ্বি সম্পর্ক হলেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিকটকে তাঁদের নিয়মিত যোগাযোগ হতো।
যা নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে অনেকসময় কথা কাটাকাটিও হতো।
এদিকে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে ফেলে যাওয়ায় তাঁদের কাটছে দূর্বিষহ জীবন। ইউনুস পেশায় জেলে, তাই একদিন রোজগার বন্ধ থাকলে না খেয়ে থাকতে হতো পরিবারের। সে চলে যাওয়ায় দুই সন্তান নিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার। একদিকে দুই সন্তানের ক্ষুধার যন্ত্রণা, সামাজিক বঞ্চনা এবং ঋণে ঝরঝরিত পরিবারটি পাওনাদারদের চাপে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে তাঁরা।
ইউনুস সরদারের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার জানান, আমার এক মেয়ে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন আর এক মেয়ের বয়স তিন মাস মাত্র। এনজিও থেকে ২ লক্ষ টাকা ঋণ নেয়া। এনজিওর লোকেরা প্রতিদিন আসে টাকার জন্য, আমার সন্তানদের খাবারের ঘরে পানি ছাড়া কিছুই নেই। আমার ছোট ভাই দিনমজুরি কাজ করে গত এক মাস যাবত ভাই আমার কাছে থাকে তার ইনকামের টাকায় আমরা খাই। মাঝে মাঝে না খেয়ে থাকে আশেপাশের লোকজন কিছু খাবার দেয়। আপনারা একটু তাকে খুঁজে বের করে আমার পরিবারটাকে বাঁচান না হয় আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা।
স্থানীয় মো. সবুজ জানান, এই পরিবারের একমাত্র আয়ের ব্যক্তি ছিল এই ইউনুস। সে এইভাবে তার ভায়রাজিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে আর্থিক সংকটে একেবারে খারাপ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে অন্যদিকে সামাজিকভাবে একটি ঘৃণার কাজ করেছে যে কারনে মানুষ নানা কথা বলছে। আমাদের অনুরোধ দেশের যে প্রান্তে হোক ওদেরকে দেখলে দরিয়ে দিবেন।
পালিয়ে যাওয়া ওই শিক্ষার্থীর মা জানান, আমার মেয়ে দাদাবাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছে পরে ওর দাদা বাড়িতে না পৌছালে আমরা খোঁজাখুজি করি পরে জানতে পারি আমার বোনের স্বামীর সাথে পালিয়েছে। এর পরে আমরা থানায় জানিয়েছি। থানা থেকে পুলিশ এসে উভয় পরিবারের সাথে কথা বলে গেছে।
পরিদর্শনে যাওয়া মহিপুর থানার এএসআই সাধন কুমার পাল জানান, আমাদের কাছে মৌখিকভাবে তারা জানিয়ে যে খালু ভায়রাজ্বি নিয়ে পালিয়েছে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পরিবার ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে আসছি। তবে তারা মামলা কিংবা অভিযোগ করতে রাজি নয়, নিজেরা খোঁজাখুজি করছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, বিষয়টি আমি অবগত নই, জানান চেষ্টা করছি। তবে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD