শনিবার, ১২ Jul ২০২৫, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল নগরীতে হোটেলে নষ্ট খাবার বিক্রি এর প্রতিবাদ করায় একই এলাকার পাশের দোকানে হামলা ভাঙ্গচুর ও দোকান মালিককে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন- শহিদ মৃধা-পিতা ছোহরাবু মৃধা, সাকিব হোসেন- পিতা- শফিক। আহতদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন গুরুতর আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ২১নং ওয়ার্ড মুসলিম গোস্থান রোডস্থ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা হলেন সাকিল হাং (৪৮), সিয়াম ০১৮৬২৭১৫১৯৬ (১৯) পিতা- সাকিল হাং সহ অজ্ঞাতনামা ১/২ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আহতর সূত্রে জানা যায়, হোটেলে নষ্ট বাসি খাবার বিক্রি না করার বিষয়কে কেন্দ্র করে ধোপাবাড়ি এলাকায় দোকান মালিক শহিদ মৃধার সাথে পার্শ্ববর্তী সাকিল এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের সূত্র ধরে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হামলাকারীরা দলবদ্ধভাবে শহিদ মৃধার দোকানে ডুকে হামলা চালায়। এসময় তাদের হাতে নিয়ে আসা রড ও চাকু দিয়ে মাথায় ও মুখে গুরুতর জখম করে দোকানে ভাঙচুর করা হয়। এসময় হাতে থাকা শ্বর্ণের আংটি ছিনিয়ে নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করেন। খবর পেয়ে কোতয়ালি মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পরে আহতদের বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন পুলিশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এই ধোপাবাড়ি এলাকায় হোটেল সাকিল নামে পরিচিত এই সাকিলের হোটেল বাদে দ্বিতীয় কোনো হোটেল দিতে গেলে এভাবেই হামলার শিকার হতে হয়। এর অগেও কয়েকটি দোকানে হামলা চালিয়েছে এবং দোকানে চাদা চেয়েছে চাদা দিতে রাজি না হওয়া দ্বিতীয় কাউকে হোটেল চালাতে দেয়া হোতনা। এদিকে শহিদের দোকানে বহুদিন যাবত হামলা করা জন্য চেষ্টা চালাছিল শনিবার রাতের পর থেকেই শহিদ মৃধার দোকানের আশেপাশে অজ্ঞাত কিছু লোক ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় এর পরে রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চিৎকার চেচামেসি শুনে দউরে গিয়ে দেখি শহিদ ও তার দোকানের স্টাফ আহত অবস্থায় পরে থাকতে দেখি। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এ ব্যাপারে কোতয়ালি মডেল থানার (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান,এ বিষয়টি আমি শুনেছি ‘হামলার ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।