শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
এস এল টি তুহিন, : মহান একুশের রাতে ফুল দেওয়ার আগেই অস্থায়ী শহীদ মিনারটি রাতের অন্ধকারে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
সোমবার (২১ ফেরুয়ারি) রাত ১২ টা ১ মিনিটের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে শহীদ মিনারটি ভাঙা দেখে স্থানীয়রা।কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে কেউ না দেখলেও অভিযোগের ইঙ্গিত স্থানীয় শহিদুল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার ১ নম্বর রায়হানপুর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের জামিরতলা এলাকায়। এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সব মহলে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
রায়হানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এইএম ওয়াহিদ মুরাদ বলেন, প্রতি বছর ইউনিয়নের ওয়ার্ড ভিত্তিক অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। রোববার (২০ ফেরুয়ারি) সন্ধ্যার পর জামিরতলা গ্রামের শহিদুলের বাড়ি থেকে ফুল আনা নিয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ড শহীদ মিনার আয়োজকদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে দেখে যায় শহীদ মিনারটি ভাঙা।
এরপরই আমাদের কাছে বিষয়টি জানালে আমরা সরেজমিন গিয়ে এ দৃশ্য দেখতে পাই। আমাদের ধারণা যাদের সঙ্গে ফুল নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে তারাই এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এই রায়হানপুরে এখনো ঘাপটি মেরে রয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। এটি দুঃখজনক মাতৃভাষা দিবসে ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধায় তৈরি শহীদ মিনার ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মুকুল তালুকদার ও জাহাঙ্গীর হোসেন জোমাদ্দার বলেন, আমরা এরকমের একটি ঘটনা শুনেই সরেজমিন এসেছি। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমাদের এখন দুঃখ ছাড়া আর কিছুই করার নেই। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও এগুলো দেখতে হচ্ছে। এখনো বাংলাদেশে ভাষা ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি রয়েছে। যারা এ ঘৃণিত কাজ করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট। কিভাবে বাংলাদেশের একজন নাগরিক হয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি এমন অশ্রদ্ধা করি? আমার সঙ্গে মুবিন, রিফাত, সালমানের পূর্ব বিরোধের কারণে এই অপপ্রচার করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ বলেন, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।