মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০১ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কলাপাড়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা কুয়াকাটার সাংবাদিককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অন্যতম আসামি গ্রেপ্তার মহিপুরে অবৈধভাবে খাল ভরাট, ভ্রাম্যমান আদালতের হানায় পাইপ বিনষ্ট, জরিমানা ৫০ হাজার টাকা স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান স্বেচ্ছাসেবক দলে হবেনা ।। নেছার উদ্দিন জাফর বগা ফেরিতে চলছে বকশিসের নামে চাঁদাবাজি,ভোগান্তিতে পরিবহন চালক কলাপাড়ায় আন্তর্জাতিক ‘নীলাকাশের জন্য নির্মল বায়ু’ দিবস উদযাপন রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার’র দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কলাপাড়ায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষন ও হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ৮ দফা দাবিতে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্থদের মানববন্ধন ট্রলারে পৌছাতে দেরি করায় ৩ জেলেকে মারধর, ১ জনের মৃত্যু মুদি শ্রমিক ইউনিয়নের মৃত সদস্য রিয়াজের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান আ‌মে‌রিকার সিটিজেন’র বাসায় ডাকা‌তি ও গণধর্ষনের ঘটনায় গ্রেফতার-৩ কুয়াকাটা সৈকতে ১০ ফুট লম্বা ইরাবতী ডলফিন কলাপাড়ায় বিরল প্রজাতির সজারু উদ্ধার/ চিকিৎসা চলছে
বরিশালে রিমান্ডে নারী আসামীকে নির্যাতন , দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

বরিশালে রিমান্ডে নারী আসামীকে নির্যাতন , দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

Sharing is caring!

বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার এক নারীকে (৩০) রিমান্ডে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রত্যাহারকৃতরা হলেন, উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাইনুল ইসলাম। তাদের বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশাল রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম আক্তারুজ্জামান। দুপুরে তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন। উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম আক্তারুজ্জামান বলেন, নারী আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। আর ওসি জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে রয়েছে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ।
এর আগে রোববার এ ঘটনার তদন্তে রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয় থেকে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কার্যালয়ের পুলিশ সুপার কাজী সোয়েব আহম্মেদকে প্রধান ও জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেনকে সদস্য করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

গত ২৬ জুন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জামবাড়ি এলাকা থেকে বাসুদেব চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বরুণ চক্রবর্তী এক নারীকে আসামি করে মামলা করেন। এতে বলা হয়, সেই নারীর সঙ্গে তার ভাইয়ের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। গত ২৮ জুন মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত নারীকে গ্রেপ্তার করে উজিরপুর থানা পুলিশ।

উজিরপুর থানায় নিয়ে যাওয়ার পরপরই এক নারী পুলিশ সদস্য লাঠি দিয়ে তাঁর ওপর নির্যাতন চালান। পরে উপস্থিত অন্য পুলিশ সদস্যরাও তাঁকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয় এবং ৩০ জুন তাঁকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

আদালত সুত্রে জানাগেছে, ৩০জুন রিমান্ডে নেওয়ার পর তাঁকে মারধর না করা হলেও পরের দিন সকালে তাঁকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কক্ষে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁর ওপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়। এরপর এক নারী পুলিশ সদস্যকে ডেকে নিয়ে তাঁকে আবার লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। একপর্যায়ে তদন্ত কর্মকর্তা নিজেই তাঁকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে পেটান। তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর তিনি নিজেকে হাসপাতালের বিছানায় দেখতে পান।

রিমান্ড শেষে ২ জুলাই আদালতে তোলার পর তাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। নারী আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। বরিশালের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালতের বিচারক মাহফুজুর রহমান গত শুক্রবার আসামির অভিযোগ আমলে নেন। তিনি নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন অনুযায়ী তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নির্যাতনের চিহ্ন ও নির্যাতনের সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেন। আদালতে প্রতিবেদন দিতে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে বলা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১০টায় ওই আসামিকে হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসা ও পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে রাত ৩টায় কারাগারে নেওয়া হয়।

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী একজন নারী চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা প্রদান এবং শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের বিষয়ে যথাসময়ে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। তবে প্রতিবেদনে কী উল্লেখ আছে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি পরিচালক।
আসামির আইনজীবী মজিবর রহমান বলেন, পুলিশ আদালত অবমাননা করেছে। আমি বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি এবং আগামী ৮ জুলাই আদালত চালু হলে এই বিষয়ে আদালতে অবহিত করব।
তিনি জানান, তার মক্কেলকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত ২ দিনের রিমান্ড দিয়ে সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয়। তার অভিযোগ, পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে স্পর্শকাতর স্থানে নির্যাতন করেছে, যা যৌন নির্যাতনের শামিল।
তবে এই হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উজিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD