রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১২ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি। জমি দখলে বাঁধা দেয়ায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ আবুল কালাম আজাদকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। ভুমি দস্যু রিয়াস মুন্সি, সুলতান, নুর সাইদ ও তার সহযোগীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেন সেনা সদস্য আবুল কালাম আজাদ। গুরুতর আহত সেনা সদস্যকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায়। এ ঘটনায় শনিবার আমতলী থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান ওসি শাহ আলম হাওলাদার। জানাগেছে, ১৯৯৭ সালে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ আবুল কালাম আজাদ উপজেলার পুর্ব আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের মামা লাল মিয়া মুন্সি ও মামানি রিজিয়া বেগমের কাছ থেকে এক’শ ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ওই জমি তিনি ভোগ দখল করে আসছেন। শুক্রবার বিকেলে ওই জমি স্থানীয় রিয়াজ মুন্সি ও নুর সাইদ জোরপূর্বক চাষাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে সেনা সদস্য আবুূল কালাম আজাদ ঘটনাস্থলে যায় এবং তিনি জমি চাষাবাদে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভুমি দস্যু রিয়াজ মুন্সি, নুর সাইদ, সুলতান হাওলাদার ও মিজানুর মুন্সিসহ ৮-১০ জনে তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে তার মাথা ফেটে যায় এবং হাতের আংগুল ভেঙ্গে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় শনিবার আহত সেনা সদস্যের ছোট ভাই নাশির উদ্দিন বাদী হয়ে রিয়াজ মুন্সিকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের নামে আমতলী থানায় মামলা দিয়েছেন। সেনা সদস্যের বাড়ী আমতলী পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের হাসপাতাল সড়কে। আহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১৯৯৭ সালে মামা লাল মিয়া মন্সি ও মামনি রিজিয়া বেগমের কাছ থেকে এক’শ ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি। ওই জমি রিয়াজ মুন্সি ও নুর সাইদ জোরপুর্বক দখল করতে চাষাবাদ শুরু করে।
খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে জমি চাষাবাদে বাঁধা দিলে আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। অভিযুক্ত রিয়াজ মুন্সি সেনা সদস্যকে মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, নুর সাইদ সেনা সদস্যকে মারধর করেছে। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মোঃ ইমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, আহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের মাথা ফেটে গেছে এবং হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।