বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন
বরিশাল: পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া ও চাকারীর কথা বলায় এক নারীর চোখ উৎপাটন ও নির্যাতন করেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের দাশার থানা এলাকার ঘুইঙ্গা গ্রামে। আহত ওই নারীর নাম ছাদিয়া আক্তার (২২)। সে মাদারীপুরের পশ্চিম বন গ্রামের প্রবাসী বারেক চৌকিদারের মেয়ে। গত শনিবার দুপুর ১টার দিকে ছাদিয়া আক্তারের শ্বশুর বাড়ী মাদারিপুরের দাশার থানা এলাকার ঘুইঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাদিয়াকে উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ছাদিয়া আক্তার জানান, ২০২০ সালের কোরবানী ঈদের পর পারিবারিক ভাবে মাদারিপুরের দাশার থানা এলাকার ঘুইঙ্গা গ্রামের কাশের মোল্লার প্রবাসী ছেলে নাছির মোল্লার সাথে তার বিয়ে হয়। ছাদিয়া ঢাকার জাপান বাংলাদেশ ফ্রেনশীপ নাসিং কলেজ থেকে ডিপ্লোমা শেষ করে। বিয়ের পর থেকে নাছির ও তার পরিবার ছাদিয়াকে লেখাপড়া বন্ধ ও চাকুরী করতে বারন করে। একই সাথে বিয়ের সময় ছাদিয়ার বাবার কাছ থেকে ২লক্ষ টাকা যৌতুক আনে। বর্তমানে শ্বশুর বাড়ী থেকে পুনরায় ছাদিয়ার পরিবারের কাছে ৩লক্ষ টাকা দাবি করে। ঘটনার দিন শনিবার ছাদিয়াকে তার স্বামী নাছির মোল্লা চুল ধরে বুকের উপর চেপে বসে দুই হাত দিয়ে ছাদিয়ার চোখ তুলে ফেলার চেষ্টা করে। এর তিন দিন পূর্বে নাছির মোল্লা ছাদিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ছাদিয়া আক্তারের মা থানায় গেলে নাছির মোল্লা ক্ষিপ্ত হয়ে সাদিয়াকে মারধর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে দিয়ে ছাদিয়াকে উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল করেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। এঘটনার পর থেকেই নাছির মোল্লা পালাতক রয়েছে। এঘটনায় ছাদিয়ার মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে মেয়ে জামাই নাছির মোল্লা, বেয়াই কাশের মোল্লা, ছাদিয়ার ননদ আকলিমা, মিলি, ভাশুর জাকির মোল্লাসহ আটজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ছাদিয়া আক্তার। তিনি তার মেয়ের চোখ নিয়েও শঙ্কিত বলে জানান।