শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক ঘর উত্তোলন করায় বিষয়টি শিক্ষা অফিসারের নিকট অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিকুর রহমান পালোয়ান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষক মো. এমরানসহ কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিক পালোয়ানের উপর হামলা করে। এতে ছিদ্দিক পালোয়ান ও তার নাতী মো: আরিফ এবং মো: মিজানসহ তিন জন গুরুতর আহত হয়।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের বড় চরসামাইয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালের পুরুষ সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চরসামাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আহতদের পরিবারের হয়ে গোলাম মোস্তফা ভোলা সদর থানায় বাদী হয়ে এবং অভিযুক্ত ছয় জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন মুক্তিযোদ্ধার এপরিবার। মামলা নং ১৬/৬০৭। তারিখ ১৩.১০.২০২০ইং।
এবিষয়ে ঘটনার বর্ননা দিয়ে আহত মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিকুর রহমান জানান, দীর্ঘ দিন ধরে চরসামাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো: এমরান বহুতলা বাড়ী নিমার্ণ করে স্কুলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে আসছে। এই অবস্থায় আমি বিদ্যালয়ের সহসভাপতি হিসেবে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এর কাছে লিখিত অভিযোগ করি। লিখিত অভিযোগের আলোকে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাধব চন্দ্র স্কুলের জমি দখলসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে তদন্তে আসেন। তার উপস্থিতেই মামলার আসামি ২নং আসামি এমরানের নির্দেশনায় স্থানীয় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মামলার ১নং আসামি আকবর হোসেন রাসেলের নেতৃত্বে ৩।ফোরকান, ৪। মো.ইউসুফ ৫।মো.ফারুক ৬। সাজ্জাত সহ অজ্ঞান আরো ৩/৪ জন রড, বগি দা, ও লাঠিসোঠা নিয়ে অতকির্ত হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় হামলকারীদের হাত থেকে আমাকে বাচাঁতে আমার নাতী মিজান ও আরিফ এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। তাদের হামলায় আমার নাতি আরিফ ও মিজানসহ আমি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এব্যাপারে চরসামাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান তার অনুউপস্থিতিতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাই তিনি এবিষয়ে আপাতত কিছু না জেনে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এদিকে উক্ত হামলার ঘটনার বিষয়ে চরসামাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.মহিউদ্দিন মাতাব্বর জানান,বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। শুনেছি উক্ত ঘটনায় ভোলা সদর থানায় মামলা হয়েছে। তাছাড়া আহতরা বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয়ভাবে পর্যালোচনা করে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তিনি স্থানীয়ভাবে উক্ত ঘটনার সমাধান করবেন বলেও জানান।
এ ব্যাপারে মামলার প্রদান আসামি মো. আকবর হোসনে রাসেলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়রা জানায় ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা গা-ঢাকা দিয়েছেন স্থানীয় তথ্যসুত্রে যানা যায়।
এদিকে ভোলার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন উক্ত ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং মামলাটির এস আই সোহেল মোল্লা পরিচালনা করবেন।এবং অতিদ্রুত উক্ত মামলায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।