শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ অপরাহ্ন
লালমোহন প্রতিনিধি,সাহিদুর রহমানঃ- লালমোহনে সৎ মা কর্তৃক দুধের সাথে বিষ খাইয়ে মেয়েকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড গজারিয়া কলেজ গেট এলাকায় ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই মেয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী। সৎ মা চক্রান্ত করে বিষ খাওয়ানো স্কুল ছাত্রীর প্রাণ বাঁচাতে চিকিৎসার উদ্যোগ নিলেন লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ। তিনি তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। রিয়া নামের ওই স্কুল ছাত্রী বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জানা যায়, গজারিয়া কলেজ গেট এলাকার হতদরিদ্র রিকশা চালক সিরাজের স্ত্রী রেনু ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ওই ঘরে মেয়ে রিয়া ও দুটি ছেলে রয়েছে। সিরাজের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিন চার মাস আগে তিনি দুলার হাট থানার কাইচ্ছা খালি গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম আছমা। রিয়া জানায়, তার সৎ মা আছমা রোববার দুপুরে তাকে আদর করে একগ্লাস দুধ খেতে দেয়। ওই দুধ খাওয়ার কিছু সময় পরে রিয়ার পেটে ব্যথা ও মাথা ঝিমুনি হতে থাকে। বিকেল পর্যন্ত রিয়া আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তার বাবা ও খালা তাকে গজারিয়া বাজারে ফার্মেসিতে নিয়ে যায়। এরপর তাকে লালমোহন হাসপাতালে আনা হয়। রিয়াকে লালমোহন হাসপাতালে আনার পর তার অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু অর্থের অভাবে তাকে তার গরীব পিতা ভোলা নিতে পারছে না। ঘটনার খবর পেয়ে লালমোহন থানার ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদ ওই মেয়েকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। সে বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রিয়ার বাবা সিরাজ জানান, আমি রিকশা চালিয়ে বাড়ি আসার পর লোকজনের কাছে জানতে পারি রিয়াকে দুধের সাথে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি ও তার খালা তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে চলে আসি। এলাকার রফিক বেপারিসহ স্থানীয় লোকজন একই কথা বলেন। লালমোহন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মুর্শিদ জানান, রিয়াকে বিষাক্ত যেকোনো কিছু খাওয়ানো হতে পারে। তার অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। তাই তাকে দ্রুত ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়ার কথা বলি লালমোহন থানার ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য ভোলা পাঠানো হয়েছে। মেয়ের সৎ মা আছমাকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।