মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন
বরিশাল সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে চলছে অসংখ্য কোচিং সেন্টার। সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কোচিংয়ের দৌরাত্ম্য কোনোমতেই থামছে না এখানে। জেলার বিভিন্ন স্থানে গোপনে চলছে এসব কোচিং বাণিজ্য। কেউ কেউ প্রশাসনের দোহাই দিয়ে কোচিং চালালেও প্রশাসন তা মোটেও জানে না। ১৫ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার উপসচিব মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার লক্ষ্যে পূর্বের বন্ধের ধারাবাহিকতায় পরবর্তি সিদ্বান্ত না আসা পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।’ কিন্তু সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বরিশাল নগরীর ২নং ওয়ার্ড কাউনিয়ায় (পানির ট্যাংকি সংলগ্ন) প্রকাশ্যে চলছে এডু এইড (Edu- Aid) শিক্ষা পরিবার নামে অবৈধ কোচিং বাণিজ্য চলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সচেতন মহল। এলাকাবাসীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, কাউনিয়া এলাকার জনৈক সোহাগ হোসেন নামে এক ব্যাক্তি এই কোচিংটি চালাচ্ছেন। জানাগেছে সোহাগ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে ভালো ফলাফলের আশ্বাস দিয়ে তার কোচিংয়ে ভর্তী করান। সাম্প্রতি করোনা ভাইরাসের পাদুর্ভাবে বরিশালের যে কয়েটি স্থানকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে ধরার হয়েছিলো তার মধ্যে নগরীর কাউনিয়া এলাকা ছিলো অন্যতম। আর সেখানে কিভাবে এই কোচিং চলে তা নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই জনমনে। গত সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় গিয়ে দেখা যায় Edu- Aid শিক্ষা পরিবারের কোচিং রুমে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী এক জায়গায় গাদাগাদি করে ক্লাস করছেন। নেই কোন সামাজিক দুরুত্ব। সংবাদকর্মীরা সেখানে গিয়ে কোচিং করানোর ছবি তুলতে গেলে তাদের সাথেও অসৌজন্য মূলক ব্যাবহার করা হয়। এদিকে সেই সংবাদকর্মী সেখান থেকে চলে আসার ঘন্টা খানিক পরে কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িত কেউ একজন (০১৬৫০………৭১২) নম্বর থেকে ফোন করে তারে ঠিকানা জানতে চায় এবং তাকে শাসিয়ে দেন। এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে করোনাকালীন সময়ে যখন স্কুল কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে, সেখানে কোচিং করানোর তো প্রশ্নই আসেনা। আমরা এধরনের অভিযোগ পেলে অবস্যই অভিযান চালানো হবে। এদিকে করোনার মধ্যে সরকারী আইন অমান্য করে কোচিং করানোর বিষয়ে জানতে চাইলে এডু-এইড কোচিংয়ের পরিচালক সোহাগ হোসেন বলেন- সবাই তো কোচিং করায়, তাই আমিও করাই। সরকারী আদেশ আপনি কেন মানেননা জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমাদের কোচিং ব্যাবসার অবস্থা খুবই খারাপ।