শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন
এম এইচ ফাহাদ-বিশেষ প্রতিনিধি:অবশেষে ভোলার স্কুল ছাত্রী জাহানারা বেগম(১২) এর নিখোঁজ এর ঘটনায় ভোলার এমবি সম্পদ লঞ্চের স্টাফদের বিরুদ্ধে ভোলা সদর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছে তার পরিবার।
গত ২২ আগস্ট ২০২০ইং তারিখে ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিনমজুর হযরত আলীর কন্যা, ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী জাহানারা বেগম ভোলার ইলিশা বিশ্বরোড রুটের ভোলা থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে লঞ্চের লঞ্চ থেকে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। পারিবারিক তথ্যসূত্র জানাযায় উক্ত ঘটনার পর নিখোঁজ জাহানারাকে খোজাখুজি পর মোবাইল ফোনে সম্পদ লঞ্চের স্টাফ মিরাজ,লঞ্চ বাবুর্চি কাজল ও কেবিন বয় সিরাজ যৌথভাবে ফোন করে জাহানারার পরিবারকে। এবং গোপনে মুক্তিপন বাবদ ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে ঘটনার পরদিন প্রতিশ্রুতি দিয়েও আজ প্রায় ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও আজও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ জাহানারা। এদিকে এবিষয়ে দিশেহারা পিতা হযরত আলী ঢাকার আশুলিয়া থানায় মেয়েকে ফিরিয়ে পেতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।তার ভিত্তিতে ভোলা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসির সহয়তা ইলিশা পুলিশ ফারীর এএস আই সুজন মাঝি কতৃক ইলিশা লঞ্চঘাট সম্পদ লঞ্চের স্টাফ মিরাজকে আটক করে। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমান ও ঢাকায় করা অভিযোগের ফরোয়ার্ডিং না থাকায় আইনগত জটিলতায় কারনে মিরাজকে 54 ধারায় সন্দেহজনক জেল হাজতে প্রেরণ করে ভোলা থানার পুলিশ।
পরে অপহরণের বিষয়টি জাহানারা পরিবার ভোলা জেলা জাতীয় সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের নেতৃবৃন্দের কাছে সহয়তার জন্য আবেদন করলে,জেলার সাংবাদিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান ফাহাদ, সহ সম্পাদক বেল্লাল নাফিজ এবং ধর্ম সম্পাদক আশরাফুল ইমন সহ অন্যন্য সাংবাদিকরা ভিকটিমের পরিবারকে নিয়ে পুরো বিষয়টি ভোলা জেলা পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন। এবিষয় জেলার পুলিশ সুপারের সরকার মোহাম্মদ কায়সার ভুক্তভোগী পরিবারকে ও সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দের তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ আইনি সহয়তা দেওয়ার আস্বাস প্রদান করেন। পরে তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতায় জেলার পুলিশ সুপারের নির্দেশনা গত ১৪,সেপ্টেম্বর ২০২০ইং তারিখে জাহানারা পিতা মো.হযরত আলীকে বাদী করে অভিযুক্ত এমবি সম্পদ লঞ্চের তিনজন স্টাফকে আসামি করে ভোলা সদর থানা অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়।যার মামলা নং ২৮/৫৬৩ নারী ও শিশু দমন আইন ভোলা সদর থানা ভোলা।
এবিষয়ে ভোলা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এনায়েত হোসেন জানান, উক্ত মামলার সকল আসামিকে আটকের প্রচেষ্টা অব্যাহত ও নিখোঁজ ভিকটিম উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এবং মামলাটি পরিচালনা দায়িত্বভার ইলিশা পুলিশ ফারীর ইনচার্জ এস আই শ্রী রতন কুমার শীলকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে জাহানারা বাবা হযরত আলী উক্ত ঘটনায় ভোলা থানায় মামলার গ্রহন করে আইনি সহয়তা দেওয়ায় জেলার পুলিশ সুপার সহ ভোলার জেলার সাংবাদিকদের প্রতি কৃতঙতা প্রকাশ করেন।এবং উক্ত ঘটনায় জড়িত সকল আসামিকে আটক ও নিখোঁজ মেয়েকে দ্রুত উদ্ধার করতে ভোলার পুলিশ প্রশাসন সহ সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেন ভুক্তভোগী এ পরিবার।
এদিকে উক্ত ঘটনার বিষয়ে এমবি সম্পদ লঞ্চের সুপারভাইজারকে মুঠোফোন ফোন দিলেও লঞ্চ কতৃপক্ষের কোন সাক্ষ্যে পাওয়া যায়নি।