সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন
লাল শাপলার রাজ্য বরিশালের উজিরপুরের উত্তর সাতলা নামে এ গ্রামটির প্রায় ১০ হাজার একর জলাভুমিতে শাপলা ফুটে। গোটা দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশ-বিদেশের পর্যটকদেও সমাগম দেখা যায় এই বিলে। কিন্তু করোনার কারণে লাল শাপলার বিলে ভ্রমণ পিপাসুদের আনাগোনা বিগত বছরের চেয়ে তুলনামূলক কম। এতে ছোট-বড় আড়াই শতাধিক নৌকা চলাচলে ভাড়া বাবদ সহ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কেনাবেচায় মাসে গড়ে ১৪/১৫ লাখ টাকা কম হয় বলেও দাবী করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ কালিমুল্লাহ।
প্লানেট শিশু পার্কঃ বরিশাল নগরীর এই শিশু পার্কটি করোনা পরিস্থিতিতে ২০ মার্চ থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস বন্ধে প্রবেশ টিকিট মূল্যসহ যাবতীয় খাতে ১৩/১৪ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ।
এছাড়াও বরিশালের বায়তুল আমান ( গুঠিয়া) মসজিদ, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, ত্রিশ গোডাউন,বধ্যভূমি,স্বাধীনতা পার্ক, আরজ আলী মাতব্বর,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরের ডিসি পার্ক, ঝালকাঠীর ইকোপার্ক বিভিন্ন সেতু সহ পর্যটন কেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানে প্রবেশ মূল্য না থাকলেও করোনা পরিস্থিতিতে লোক সমাগম কম হওয়ায় ব্যবসায়ীদের বেচাকেনাও কম।
পাশাপাশি পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর ( সংরক্ষিত),বরগুনার সোনাকাটা ইকোপার্ক, হরিণঘাটা পার্ক, শূভ সন্ধ্যা, ভোলার জ্যাকব টাওয়ার, শেখ রাসেল শিশু ও বঙ্গবন্ধু পার্ক, বরিশালের চাখার শেরে-বাংলা জাদুঘরসহ দক্ষিণাঞ্চলের আরো পর্যটন এলাকায় হোটেল সহ বিভিন্ন ব্যবসায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন।
জল তরণী তাবুঘরের পরিচালক ও তরুণ উদ্যোক্তা আরিফুর রহমান জানান, করোনা শুধু পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কেই লোকসানে ফালায়নি। পাশাপাশি পর্যটন শিল্প কে আরো বিকাশিত করার লক্ষে অবিরাম কাজ করা তরুণ ও উদ্যোমী উদ্যোক্তাদের কেও পথে বসিয়ে দিয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারের প্রণোদনা আর বরাদ্দ ছাড়া এ পর্যটন লিল্প কে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয় বলেও মনে করছেন এই উদ্যোক্তা।