শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১১ অপরাহ্ন
এম এইচ ফাহাদ-বিশেষ প্রতিনিধি ভোলা : ভোলার দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে দশম শ্রেণীর মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ১৪ বছরের কিশোরী উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রী। বিদেশ প্রবাসী ফজলুর রহমানের মেয়ে। একই এলাকার সাজিবাড়ির তোফাজ্জলের ছেলে সোহেলের বিরুদ্ধে বিয়ের নাটক সাজিয়ে দির্ঘ ৮ মাস ধরে ধর্ষেণের অভিযোগ করেন ওই কিশোরী। ওই কিশোরী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত প্রতারক সোহেল আমাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে আসছে।
গত কয়েক মাস আগে আমাকে ধর্ষণ করে সোহেল। স্থানীয় লোক আমাকে উদ্ধার করে। পরে স্থানীয় মেম্বারের বাসায় নিয়ে যায় । সেখানে একটি নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ হয়। আমার বয়স ১৪ বছর, বিবাহতে আমার বয়স দেওয়া হয়েছে ১৮ বছর। আমি দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্রী। এবং আমার মায়ের কাছ থেকে চকুরির কথা বলে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে প্রতারক সোহেল। এখন আমাকে সেহেল কোন বিয়ে করেনি বলে আমার সাথে প্রতারনা করেছে সোহেল ও তার পরিবার। আমি নিরুপায় হয়ে সোহেলের বাড়িতে এসে ধর্ষণের বিচার চাইতে অবস্থান করি। পরে আমাকে সোহেলের বাবা তোফাজ্জল খারাপ প্রস্তাব দেয়। তখন আমি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম। আমি সোহেল ও তার বাবা তোফাজ্জল হোসেনের বিচার চাই। এসময় ধর্ষক সোহেলের বাড়ি থেকে অসহায় মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে বাংলাবাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ইনচার্জ মোঃ জিন্নাত আলী। স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন, দির্ঘ কয়েক মাস আগে স্থানীয় লোক ওই কিশোরীকে ও সোহেলকে আটক করে আমাকে মোবাইল করেন, পরে আমি মেয়েটিকে উদ্ধার করি। এবং আমাদের চেয়ারম্যান ইয়াসিন লিটন ভাইকে বিষয়টি জানাই। পরে মেয়েটি অনেক কান্নাকাটি করেছে এবং তাকে ধর্ষন করার কথা বলেছে। পরে আমাদের আইনের আওতায় না পরায় আমি বিষয়টি এরিয়ে যাই। পরে স্থানীয় লোকের মাধ্যেমে কিভাবে বিবাহ হয়েছে সেটা আমি জানি না। তবে বিবাহের একটি কাবিনের কাগজ আমার হাতে এসেছে। মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়ে বিবাহ হয়েছে। তবে আমিও অসহায় মেয়েটিকে ধর্ষণের ঘটনার বিচার চাই।
স্থানীয় একাধিক লোক বলেন, রাত হলে মেয়েটিকে সোহেলের বাবা তফাজ্জল খারাপ কাজ করত, এবং অসহায় মেয়েটিকে হয়ত হত্যা করত, তবে পুলিশ আসায় মেয়েটি প্রাণে বেচে গেল।
বাংলাবাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ জিন্নাত আলী বলেন, আমরা খবর পেয়ে সোহেলের বাড়ি থেকে অসহায় মেয়েটিকে উদ্ধার করি। এসময় সোহেল ও তার বাবা এবং তার মা তাদের ঘর তালা মেরে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার গিয়াসউদ্দিন ও ৯ নং ওয়ার্ডের হারুন মেম্বার আমাদের সাথে উপস্থিত ছিল।
উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াসিন লিটন জানান, ছেলে ও মেয়ে আমার এলাকার লোক। প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে এটা হয়েছে। একটা নারীর ইজ্জত নিয়া এটা আমি কামনা করি না। তবে উভয় মিমাংসা হলে ভাল হত।
দৌলতখান থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, মেয়েটি থানায় আছে , মামলা করলে আমরা মামলা নিব। এবং তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।