সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনা্লের গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বরিশাল কাউন্টারের ম্যানেজার ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন।ছিনতাইকারীরা তাকে মারধর করে তার সাথে থাকা ২লক্ষ তেতাল্লিশ হাজার টাকা ও একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়েছে।
আহত গোল্ডেন লাইন কাউন্টার ম্যানেজার মোঃ শহিদুল ইসলাম(৩৫) পটুয়াখালী জেলার আউলিয়াপুর গ্রামের মৃত নূরুল ইসলাম শিকদারের ছেলে।
আহত সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে কাউন্টার বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার উদ্দ্যেশ্যে রওনা হন তিনি। বাস টার্মিনালের পেছনের রাস্তা থেকে বের হওয়ার সময় হঠাৎ একদল ছিনতাইকারী মক্কা-মদিনা হোটেলের সামনে তাকে ঘিরে ধরে এবং অতর্কিত মারধর করে ২লক্ষ তেতাল্লিশ হাজার টাকা ও একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে তার ডাক চিৎকার শুনে বাস টার্মিনালে ডিউটিরত পুলিশ সদস্য এ এস আই রুহুল আমীন তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছালে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।ছিনতাইয়ের শিকার আহত গোল্ডেন লাইন ম্যানেজারকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।
আহত গোল্ডেন লাইন ম্যানেজার শহিদুল জানান,পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার উপর হামলা চালিয়ে ছিনতাই করেছে তারা । আমার উপর হামলা চালিয়েছে নথুল্লাবাদের বিভিন্ন বাসের স্টাফ রনি, তারেক, রুবেল, ইউনুস, জলিল, মাসুম, সোহাগ, সৌরভ, দেবাসহ আরো কয়েকজন। এরা সকলেই বরিশাল মহানগর শ্রমীকলীগ নেতা লিটন মোল্লার অনুসারী।
তিনি আরো জানান, চাকরি করার সুবাদে বরিশাল কাউন্টারে যোগদান করার পর থেকেই বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও শ্রমিক নেতা লিটন মোল্লা টার্মিনালে যাতায়াত করতেন পরবর্তীতে তিনি একদিন হটাত বলেন নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে কাউন্টার এবং বাস চালাতে চাইলে তাকে প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার সম্মানী দিতে হবে। পরবর্তীতে আমি টার্মিনালের অন্যান্য কাউন্টারে জিজ্ঞাসা করলে তারাও জানান লিটন মোল্লাকে সম্মানী না দিলে কেউই বাস চালাতে পারেনা, তার উপর মহল পর্যন্ত যোগাযোগ রয়েছে। একপর্যায়ে আমি কয়েকমাস কম বেশি করে তাকে সম্মানী পাঠিয়েছিলাম।কিন্তু করোনার কারনে বাস চলাচলে খুব সমস্যার কারনে কোনো ইনকাম বানিজ্য না থাকায় গত দুই মাস যাবত তাকে তার সম্মানী পাঠাতে পারিনি। এ কারনে সে তার লোকজন নিয়ে কিছুদিন পূর্বে আমাকে তার বাসায় নিয়ে যান এবং সেখানে বসে আমাকে অকাত্থ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং তার সম্মানী না দিলে আমাদের গোল্ডেন লাইন কাউন্টার উচ্ছেদ ও আমাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে শ্রমিক নেতা লিটন মোল্লার ব্যবহৃত নাম্বারে যোগাযোগ করার চেস্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাহিদ বিন আলম জানান, করোনার মধ্যেও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।হামলার শিকার গোল্ডেন লাইনের ম্যানেজার আহত থাকায় সে হামলাকারীদের সঠিক নাম ঠিকানা বলতে না পারায় ছিনতাইয়ের অভিযোগ নেয়া সম্ভব হয়নি।তবে তাদের সাথে যোগাযোগ হয়েছে তারা হামলাকারীদের সঠিক পরিচয় অভিযোগে উল্ল্যেখ করে দিলেই আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।