শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মামাবাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী (১৭)। এ ঘটনায় সোমবার (১৫ জুন) রাতে নির্যাতিতা ওই কিশোরী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাড়ি পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার আমতলা গ্রামে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জাহিদ শেখ (২৫) উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের আবুল বাশার শেখের ছেলে ও তার বন্ধু স্থানীয় বালিপাড়া বাজারের হ্যামিও চিকিৎসক মো. মনিরুল ইসলাম মনির একই এলাকার নুরুল ইসলাম শেখের ছেলে। মনিরের দাদা বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীর পরিবার ভারতের বেঙ্গালুরুতে ছিলো। প্রায় এক বছর আগে বাংলাদেশের নিজ গ্রামে ফিরে আসেন তারা। সেখান থেকে ১০/১১ দিন আগে উপজেলার মধ্যবালিপাড়া গ্রামের মামাবাড়িতে বেড়াতে আসে ওই কিশোরী।
শুক্রবার (১২ জুন) বিকেলে দূর সম্পর্কের মামা জাহিদ ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে তাকে বালিপাড়া বাজারে নিয়ে যায়। পরে কৌশলে তাকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে দেয়। পরে জাহিদ তার বন্ধু স্থানীয় হ্যামিও চিকিৎসক মনিরুলের সহায়তায় ওই কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় মনিরুলের দাদা বাড়ি মোড়লগঞ্জের হোগলাবুনিয়ায় নিয়ে আটকে রেখে তিন দিন ধরে ধর্ষণ করে। এ সময় জাহিদের বন্ধু হ্যামিও চিকিৎসক মনিরুল ওই কিশোরীর কাছে থাকা মোবাইল ফোনে তা ধারণ করেন এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে সেও ধর্ষণ করে।
পরে গত রোববার (১৪ জুন) বিকেলে কিশোরীকে ওই ঘরে ফেলে চলে যায় ধর্ষক জাহিদ ও তার বন্ধু মনির। সেখান থেকে মামাবাড়িতে ফেরার পথে স্থানীয় কয়েক তরুণ ওই কিশোরীর সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে ওই মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও দেখলে তারা কিশোরীর মামাবাড়ির পরিবার
ও ধর্ষকদের কাছে চাঁদা দাবি করে।
থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান জানান, সোমবার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে শুনে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পরে ওই কিশোরী বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাতেই মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।