রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
বরিশালের মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের বালিয়াতলিরচর গ্রামে প্রবাস ফেরত যুবক ইমরান বেপারীকে গলা কেটে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে প্রধান অভিযুক্ত আসামী যুবরাজ খলিফা।
শনিবার বরিশালের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মওদুদ আহমেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় সে। সংস্লিস্ট বিস্বস্ত সুত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
মুলাদী থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সফিপুর ইউনিয়নের বজ্রমোহন গ্রামের আল খলিফার মেয়ে আফরোজার সাথে দির্ঘ ৭ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো যুবরাজের। গত এপ্রিল মাসে মুঠেফোনে সৌদি ফেরত ইমরানের সাথে পরিচয় এবং এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক হয় আফরোজার। এরপর থেকে আফরোজা যুবরাজকে এড়িয়ে চলছিলো। ঘটনার রাতে (গত বুধবার) ইমরান তার প্রেমিকার বাড়ি গিয়ে জানালার পাশে দাড়িয়ে আফরোজার সাথে লুকিয়ে দেখা করতে যায়। এর আগে থেকেই আফরোজার গতিবিধি দেখার জন্য গোপনে পাহাড়া দিচ্ছিলো যুবরাজ। আফরোজার সাথে লুকিয়ে কথা বলার দৃশ্য দেখে হাতে থাকা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয় যুবরাজ। এ সময় ইমরান দৌড়ে পালালেও হাতে সামান্য ক্ষত হয় আফরোজার। এরপর ইমরানকে ধাওয়া করে যুবরাজ। এক পর্যায়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে ইমরান। সেই অবস্থায় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুটি কোপ দেয় যুবরাজ। এতে তার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর মনের ক্ষোভে তাকে জবাই দেয় সে। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে ইমরানকে হত্যার দায় এভাবে স্বীকার করে যুবরাজ।
গত বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা বালিয়াতলীর চরে ইমরানের গলাকাটা মস্তক বিহীন মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার মর্গে প্রেরন করে। ওই দিনই নিহতের বাবা আলতাফ বেপারী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে নারীঘটিত বিষয়ে ইমরান হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ। সেই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতেই প্রধান অভিযুক্ত যুবরাজ বেপারীকে আটক করে পুলিশ। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বজ্রমোহন গ্রাম থেকে নিহতের সাবেক প্রেমিকা আফরোজা, তার বাবা আলম খলিফা ও তার মাকে আটক করে পুলিশ। তবে এর মধ্যে যুবরাজ পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান হত্যার দায় স্বীকার করে।
মামলার গোপনিয়তা রক্ষায় এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজী হননি মুলাদী থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন।