সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি চিকিৎসকদের দ্রুত স্বপদে বহাল করার দাবি জানান তিনি।
আজ শনিবার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই এসব দাবি জানান। রেজাউল করীম বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিজেদের দুর্নীতি ও লুটপাটের দায় আড়াল করতে এবং তাদের অপরাধের নিশানা ও চিহ্ন মুছে ফেলতে চিকিৎসকদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে, চাপের মধ্যে রাখছে। যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
বিবৃতিতে চরমোনাই পীর আরও বলেন, সরবারহকৃত এন-৯৫ মাস্কের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালকের বিরদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সেই দুর্নীতির বহিঃপ্রকাশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সরবারহকৃত নকল ও মানহীন মাস্ক, পিপিই, হ্যান্ড গ্লাভসসহ অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রীর কারণেই চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার মারাত্মক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে তিনিসহ সমগ্র চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ক্ষমা চাইতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেনাকাটায় জড়িত ‘দুর্নীতিবাজ-লুটেরা’ কর্মকর্তাদের অবিলম্বে অপসারণ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
সাধারণ নাগরিকদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত ও মানসম্মত সেবা চালুর দাবি জানিয়ে রেজাউল করীম বলেন, করোনা আক্রান্ত অনেক রোগী ডাক্তারের অবহেলায় চিকিৎসাহীনভাবে মারা যাচ্ছে এবং অনেকে করোনা পজেটিভ হয়ে এ্যাম্বুলেন্সে করে হসপিটালে গিয়ে দুঃখজনকভাবে ভর্তি হতে ব্যর্থ ও সেবাবঞ্চিত হয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছে। যা দেশের মানুষের ভবিষ্যতে ও রোগ নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি করছে।