বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স:গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে খাদ্য সহায়তার দাবিতে ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ঘেরাও
করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় পরিষদে ঢুকে চেয়ারম্যান ও সচিবকে অবরুদ্ধ করে লাঞ্চিতও করা হয়। নির্বাচনী দ্বন্ধের জেরে প্রতিপক্ষ কাহার আহম্মেদ শাহিন পরিকল্পিত ভাবে লোকজন দিয়ে এই হামলা চালায়। এ ঘটনায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরও শতধিক আসামি করে সাদুল্লাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে সাদুল্লাপুর থানায় পরিষদের সচিব সেলিম আকতার বাদি হয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে প্রতিপক্ষ কাহার আহম্মেদ শাহীন তার ভাই আবদুল বাতেন ছাড়াও স্থানীয় সুজেল, মোনাজ্জল, মমিনুর, রবিউল, জাকিরুল, মধু, আবেদুল ও মোতাল্লেবসহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিপক্ষ কাহার আহম্মেদ শাহীন মুঠফোনে বলেন,
‘ত্রাণের দাবিতে পরিষদ ঘেরাও ও ভাঙচুরের ঘটনায় তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। নিজেদের অনিয়ম-অপকর্ম ঢাকতেই হয়তো চেয়ারম্যান ও সচিব এমন মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে আমি নিজেও সর্ব্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি অসহায় মানুষদের। তবে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত অভিযোগ ও থানায় এজাহারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান তিনি।’
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সেলিম আকতার বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে পরিষদ চত্তরে দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের প্রস্তুতি চলছিলো।
কিন্তু হঠাৎ করে সুজেল ও মোনাজ্জলসহ শতাধিকের বেশি নারী-পুরুষ পরিষদ ঘেরাও করে। পরে আত্মরক্ষার্থে অফিস রুমে অবস্থান নেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।’
ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নুর আজম বলেন, ‘সরকারী বরাদ্দের ৭ মেট্রিক টন চাল ইউনিয়নের অসচ্ছল পরিবারের মাঝে বিতরণ চলছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন গ্রামের পাচ শতাধিক মানুষকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। ওয়ার্ড ও এলাকা ভিক্তিক প্রকৃত অসহায় ও কর্মহীন মানুষের তালিকা করে সুষ্ঠভাবে ত্রাণ বিতরণ চলছে। কিন্তু খাদ্য সংকটের অজুহাতে নির্বাচনের প্রতিপক্ষ প্রার্থী কাহার আহম্মেদ শাহিন ও তার ভাই আবদুল বাতেন ইন্ধন দিয়েই এই হামলার ঘটনা ঘটায়।’
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় হামলা-ভাঙচুর সহ চেয়ারম্যান ও সবিচকে লাঞ্চিত ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পরিষদের সচিব অর্ধশতাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও শতাধিক আসামি করে থানায় লিখিত এজারহার দিয়েছেন। হামলার সঙ্গে জড়িদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।