শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন
বরিশাল নগরে সম্পত্তি নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন মোঃ ফরিদহোসেন(৪৫) নামের এক ব্যক্তি।
শনিবার সকালে নগরের বগুরা রোডের কবি জীবনানন্দ দাস সড়ক এলাকায় ঘটা এ ঘটনায় নিহতের আপন ভাই মো. শাহে আল খান ও মফিজুল ইসলাম খান নান্নুসহ তিনজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
নিহত এক সন্তানের জনক মো. ফরিদ হোসেনর (৪৫) ওই এলাকার জেসমিন ভিলার বাসিন্দা মৃত এমএ মজিদ খানের ছেলে।
নিহতের অপর ভাই জিয়াউর রহমান খান জানান, ‘তারা ১০ ভাই ও ৩ বোন। এদের মধ্যে মো. ফরিদ হোসেন খান তাদের বাড়ির সামনে থাকা কাতার থাই এ্যালুমুনিয়াম ফেব্রিকেটর নামক স্টল ভাড়া দিতেন।
সম্প্রতি স্টলের ভাড়া নিয়ে ভাইদের মধ্যে বিরোধ বাদিয়ে দেয় ওই স্টলের ভাড়াটিয়া। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজাজের কাছে স্টলের ভাড়া আনতে যান ফরিদ হোসেন।
এ নিয়ে দোকানের ভাড়াটিয়া কাজাজের সঙ্গে ফরিদের কথা কাটাকাটি হয়। তখন কাজাজ ফরিদের অপর ভাই মো. শাহ আলম খান, মফিজুল ইসলাম খান নান্নু, মজিবর রহমান ও ভাতিজা সিয়ামকে ডেকে নেয়।
সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় সবাই মিলে ফরিদ হোসের উপর হামলা করে। এসময় তারা পাইপ ও ইট দিয়ে পিটিয়ে ফরিদকে গুরুতর আহত করে। বাধা দিতে গেলে তার অপর ভাই জিয়াউর রহমানকেও মারধর করে অন্য ভাইয়েরা।
এতে গুরুতর আহত ফরিদ হোসেনকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ফরিদের স্ত্রী রোজী বেগম জানান, পৈতিক জমি-জমা ভাগাভাগি নিয়ে অনেক দিন যাবত ১০ ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ফলে নিহত ফরিদ একটু সহজ-সরল হওয়ায় তাকে ভাইরা ঠকিয়ে আসছে। পরে স্থানীয় ভাবে পৈতিক জমির উপরে থাকা থাই
এ্যালমুনিয়াম দোকানের ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া হয় ফরিদ কে। সে অনুযায়ী ফরিদ নিয়মিত ৪/৫ বছর যাবত দোকানের তিন হাজার টাকা ভাড়া উত্তোলন করে ।
সকালে ফরিদ দোকানের ভাড়া আনতে গেলে বড় ভাই শাহে আলম বাঁধা দেয়। এর পর ভাইদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় ভাই শাহ আলম, ও দোকানদার কাজাজসহ ৪/৫ জন মিলে পাশে থাকা ইট দিয়ে মাথা ও বুক থেতলে দেয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘দোকানের ভাড়া টাকা নিয়ে দ্বন্দের জের ধরে এই হত্যাকন্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে নিহতের ভাই অভিযুক্ত শাহে আলমকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া তার অপর ভাই মফিজুল ইসলাম খান নান্না ও তার ছেলে সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত দোকানের ভাড়াটিয়া কাজাজ ও অপর ভাই মজিবর রহমানকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।