শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী উলবার রোস বলেছেন, চীনের প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস মহামারী যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হতে পারে। টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি মনে করি, এতে উত্তর আমেরিকায় কর্মসংস্থার বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
উহান থেকে করোনাভাইরাস দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত ২১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। চীনা অর্থনীতি ও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে এই মহামারীর প্রভাব নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
তবে এই মন্তব্যের জেরে উলবার রোসকে তুলাধোনা করছেন ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচকরা। করোনাভাইরাস মার্কিন অর্থনীতির জন্য কোনো ঝুঁকি তৈরি করতে পারে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে ফক্স বিজনেস নিউজকে তিনি এসব কথা বলেন।
এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজারের মতো। মার্কিন নাগরিকদের চীন সফরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। এখন পর্যন্ত ২০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই মহামারী। সেই প্রেক্ষাপটে নাগরিকরা যাতে চীন ভ্রণের না যান, সেই নির্দেশনা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে জেনেভায় সংকটকালীন আলোচনা শেষে ঝুঁকি মূল্যায়ন পুনর্বিবেচনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুরুর থেকে করোনাভাইরাসের হুমকি হালকা করে দেখায় সমালোচনার শিকার হয়েছে এই সংস্থাটিকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরোস আডহানোম গেবরিয়াসুস বলেন, দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দেশগুলোতে এই ভাইরাস ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাই আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ। এটির বিস্তার যাতে আর ঘটতে না পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজকরতে হবে। কেবল সবাই একসঙ্গে সক্রিয় হয়ে এটাকে বন্ধ করতে পারবো।
নতুন ধরনের এ করোনাভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে প্রথমত চীনফেরত ব্যক্তিদের মাধ্যমে। কিন্তু জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ভিয়েতনামে ৮ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যারা কখনও চীনে যাননি।
অর্থাৎ, সেখানে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে শুরু করেছে এ ভাইরাস।
যেসব দেশে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে দুর্বল, সেসব দেশে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ শুরু হলে পরিস্থিতি কী হবে- মূল সেই ভাবনা থেকেই বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এদিকে চীনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এক দিনেই ১৭০ থেকে বেড়ে হয়েছে ২১৩ জন। নতুন করে দুই হাজার মানুষের দেহে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, কেবল চীনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৭০০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।