শুক্রবার, ০৪ Jul ২০২৫, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া ঝালকাঠিতে জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বিভাগের অন্য জেলার সঙ্গে সঙ্গে ঝালকাঠিতেও টানা ২৭ ঘণ্টা পরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয় সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার পর থেকে। এরপর ধীরে ধীরে ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক হয়। একইসঙ্গে অভ্যন্তরীণ সড়কপথে গণপরিবহন ও নৌপথে লঞ্চসহ যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে ঝালকাঠি জেলায় আংশিক ও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক হাজার ৩৩৩টি ঘর। এছাড়া ৪৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যদিও জেলার চার উপজেলার মধ্যে কোথাও কোনো নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর রোপা আমন ধান, ৫৫০ হাজার হেক্টর সবজিক্ষেত ও ৭৫ হেক্টর পানের বরজের ক্ষতি হয়েছে।
পাশাপাশি ৭৪৮টি মৎস্য ঘের ও পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার আর্থিক হিসাব অনুযায়ী ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, জেলাজুড়ে প্রচুর গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটলেও তার হালনাগাদ তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী জেলার চার উপজেলায় ৪১৫ কিলোমিটার কাঁচা, আধা পাকা ও পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে।
সোমবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাছবীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।