সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০২:২১ পূর্বাহ্ন
বরিশালে অপহরণের পর গণধর্ষন মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনকে পৃথক ধারায় কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
যারমধ্যে ২ জনকে পৃথক দুই ধারায় যাবজ্জীবন ও ১৪ বছরের কারাধণ্ড এবং একজনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি সকলকে অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) বিকেলে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, বরিশাল নগরের রুপাতলী চড়ের বাড়ি এলাকার নজরুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রী নাছিমা বেগম নাছরিন এবং সাগরদী ওয়াপদা কলোনী এলাকার শাকিল আহমেদ।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানাগেছে, ২০০৩ সালের ৯ জুন মামলার ৩ নম্বর আসামী নাছিমা বেগম ওরফে নাছরিন বাদীর ১৯ বছরের মেয়েকে চাকুরি দেয়ার কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নেয়। এরপর লঞ্চযোগে ভিকটিমকে ঢাকা নিয়ে যায়।
ঢাকা নেয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে বসে মামলার ১ ও ২ নম্বর আসামী নজরুল ইসলাম খান ও শাকিল আহমেদ ভিকটিমকে একাধিকবার গণধর্ষন করে।
এ ঘটনায় বাদী ও ভিকটিমের পিতা ২০০৩ সালের ২০ জুন একটি মামলা দায়ের করেন। যে মামলায় কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাহিয়া খানম একই সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
আদলত ৭ জনের সাক্ষগ্রহন শেষে আজ রায় ঘোষনা করেন।
রায়ে মামলার ১ ও ২ নম্বর আসামী নজরুল ইসলাম খান ও শাকিল আহমেদকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ এর ৩ ধারায় (গণধর্ষন) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০০০ এর ৭ ধারায় (অপহরণ) ১৪ বছরের কারাদণ্ড ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ২ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
অপরদিকে মামলার ১ নম্বর আসামী নজরুল ইসলাম খানের স্ত্রী ৩ নম্বর আসামী নাছিমা বেগম ওরফে নাছরিনকে ২০০০ এর ৭ ধারায় (অপহরণ) ১৪ বছরের কারাদণ্ড ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ২ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানিয়েছেন দণ্ডপ্রাপ্তরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।