রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৭ অপরাহ্ন
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর পরিবেশ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় কঠোর অবস্থানে নেমেছে জেলা প্রশাসন।
পপটুয়াখালী সদর উপজেলা বদরপুর ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামের লাউকাঠি নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে একটি ভ্যাকু (Excavator) জব্দ করা হয়েছে। অদ্য( ২১ ডিসেম্বর রবিবার) সকালে পটুয়াখালীর বদরপুর ইউনিয়নের মাওলানা বাড়ীর পাশে ধোপা বাড়ীর সামনে মাটি কাটার দায়ে ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে একটি ভ্যাকু জব্দ করা হয়।
দীঘদিন ধরে প্রভাবশালী একটি চক্র রাতের আঁধারে পটুয়াখালীর বদরপুর লাউকাঠি নদীর পাড় কেটে মাটি পাচার করে আসছিল।
এর ফলে ২ নং বদর পুর, লাউকাঠি, ইটবাড়িয়া ইউনিয়নসহ পৌরসভার মাজগ্রাম এলাকার নদী ভাঙনের চরম ঝুঁকিতে পড়ে।
বিশেষ করে পটুয়াখালী সেতুর উত্তরপাড় এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছিল।
এমনকি স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমিও জবরদখল করে মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
প্রশাসনের ভূমিকা ও অভিযান: গত ২১ ডিসেম্বর এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের খবর পেয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পটুয়াখালী সদর উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
অভিযান চলাকালে অবৈধ মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত ভ্যাকুটি জব্দ করা হয়। প্রশাসনের এই তড়িৎ পদক্ষেপের ফলে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
গণমাধ্যমকর্মীদের তৎপরতা: উল্লেখ্য যে, পটুয়াখালী জেলা প্রেস ক্লাবের কার্যকরী সদস্য এবং জুলাই বিপ্লবের সম্মুখসারির যোদ্ধা লোকমান মৃধাসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা এই অবৈধ মাটি কাটার বিষয়টি প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন।
তারা সরেজমিনে গিয়ে এই ধ্বংসাত্মক কাজের প্রমাণ সংগ্রহ করে সদর ইউ,এন,ও,ডিসি,পুলিস সুপার এবং বিভাগীয় পর্যায়ে অভিযোগ পেশ করেন।
যদিও শুরুতে মাঠ পর্যায়ে কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তবে শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের এই সক্রিয় ভূমিকা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় একটি মাইল ফলক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া: স্থানীয়রা এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আসাদ,বাপ্পি, আলামিন ও নাসিরের মতো প্রভাবশালীরা এই জনপদকে ধ্বংস করছিল।
প্রশাসনের এই কঠোর বার্তা আগামীতে অন্য ভূমি দস্যুদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে ব্যপক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন