রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর কর্তৃক বেড়িবাঁধপ্রশস্তকরে রাস্তা নির্মাণে উচ্ছেদ আতংকগ্রস্থ জিয়া কলোনীর ভূমিহীনপরিবারের যথাযথপুনর্বাসন এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক হয়রানির প্রতিবাদে কলাপাড়া প্রেসক্লাব চত্বরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত খাস জমিতে ২২টি পরিবার তাদের বাড়ি-ঘর নেওয়ার ৬ মাস পরেও এখন পর্যন্ত একটি টিউবয়েল বসানো হয়নি।
বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে বাকি পরিবারগুলোর জন্য আন্দারমানিক নদীর তীর ঘেঁষে নদীর একটা অংশ ভরাট করে পুনর্বাসনের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
যা বসবাসের উপযোগী হয়। এই যায়গায় বাড়ি ঘর সড়িয়ে নেওয়ার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আরাফাত কন্সট্রাকশনের লোকজন পরিবারগুলোকে হয়রানি করছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রথম পর্যায়ের ২২টি পরিবারের জন্য অতি দ্রুত বিদ্যুৎ, টিউবয়েল, পুকুর, চলাচলের রাস্তা এবং পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেস ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
বরাদ্ধকৃত জমির বরাদ্ধ অনুমোদনের কাগজ প্রদান করা। একই সাথে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের হয়রানি বন্ধ করে বাকি পরিবারগুলোর জন্য নদী থেকে যথেষ্ঠ দূরে এবং উঁচু জমিতে যথাযথ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানায়।
এই মানববন্ধনে বক্তব্য রা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য মোঃ ফোরকান হাওলাদার, মোঃ ইব্রাহিম শিকারী, লাইলী বেগম, কবির হোসেন, জসিম প্যাদা, সালেহা বেগম, আল আমিন খান ।
প্রতিবেশ ও উন্নয়ন ফোরাম-পটুয়াখালী এর সদস্য সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নেসার উদ্দিন আহমেদ টিপু, কলাপাড়া পরিবেশ ও জনসুরক্ষা মঞ্চের সদস্য সচিব মনোয়ারা বেগম, প্রতিবেশ ও উন্নয়ন ফোরাম-পটুয়াখালী এর প্রতিবেশ ও উন্নয়ন ফোরামের আহবায়ক এবং কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমল মুখার্জি
ইব্রাহিম শিকারী বলেন, আমরা বাস্তুভিটাহীন হওয়ার কারণে ২০০৪সালে তৎকালীন সরকার আমাদেরকে আন্ধারমানিক নদীর পাড়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাসের সুযোগ দিয়েছিল।
যার পর জঙ্গল সাফ করে দীর্ঘ ২০বছর ধরে নানা প্রতিকূ লতার মধ্যও আমরা বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাস করে আসছি।
বেড়িবাঁধের বাইরের দিকে বসবাস করার ফলে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়জলোচ্ছ্বাস এবং অস্বাবাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়া আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী তা রপরও মাছ ধরে, ইট ভাটায়কাজ করে নির্মাণ শ্রমিক এবং কৃষি শ্রমিক হিসাবে কাজ করে বিভিন্ন টানাপোড়নের মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করে আসছি।
আমাদের এই বসতিতে একটি শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটা মাদরাসা এবং মসজিদ রয়েছে।
আজকে আমাদেরকে নদীর মধ্যে একটা যায়গা ভরাট করে সেখানে বাড়ি-ঘর নিয়ে চলে যেতে বলে।
আমাদের ইউনিয়নে এত খাস জমি প্রভাবশালীরা ভোগ দখল করে অথচ ভূমিহীন পরিবারের জন্য কি একটা টুকরা খাস জমি নাই।মোঃ ফোরকানহাওলাদার বলেন,পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ লালুয়ায় অবস্থিত প্রথম টার্মিনাল থেকে টিয়াখালীতে প্রশাসনিক ভবন হয়ে ঢাকা—কুয়াকাটা আঞ্চলিক সড়কের সাথে যুক্ত হওয়ার বিকল্প সড়ক হিসাবে পায়রা বন্দরেরগেট থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুলইসলাম সেতু পর্যন্ত বেড়িবাঁধেরউপর দিয়ে সাড়ে পাঁচ কিঃমিঃ রাস্তা নির্মাণ করার কাজ শুরু করেছে।
এই রাস্তা নির্মাণ করতে আমাদের কলোনীসহ বেড়িবাঁধের ঢালে বসবাসকারী আনুমানিক ১৩৬টি ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদ করা হবে
মোয়াজ্জেম হোসেন
কলাপাড়া পটুয়াখালী।