স্টাফ রিপোর্টারঃ
বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও প্রশাসনিক অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের গতকাল (৬ ই আগস্ট) বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে।
সাংবাদিক ও সমাজকর্মী মুহম্মদ ইমন খন্দকার হৃদয়, গত মাসের পহেলা জুলাই বরিশাল জেলা প্রশাসক বরাবর অসিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করলে, গতকাল তার আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়।
অসিতের নানা দুর্নীতির ব্যাপারে তদন্ত করতে বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
যার প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) উপমা ফারিসা। উপমা ফারিসের নেতৃত্বে গতকাল শুনানির জন্য উভয় পক্ষকে তার কক্ষে ডাকা হয়। উভয়পক্ষ তাদের যথাযথ প্রমাণ তদন্ত কমিটির কাছে উপস্থাপন করেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) উপমা ফারিসা জানান,” আমরা যে অভিযোগ পেয়েছি, তার দালিলিক প্রমাণ ও সাক্ষ্যের জন্য উভয়কে ডাকা হয়েছে, সুষ্ঠু তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে, অভিযুক্ত কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশগুপ্ত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এগুলো ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আমি সবসময় নিয়ম মেনে দায়িত্ব পালন করেছি।”। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগকারী মুহম্মদ ইমন খন্দকার হৃদয় বলেন,” অসিত বরণ দাশগুপ্ত একজন দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা।
বিগত দিনে সে যেখানেই কর্মরত ছিল সেখানেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে বরিশালে এসে হরিরলুট শুরু করেছেন।
একের পর এক ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে একাডেমির ফান্ড শূন্য করছেন। একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন।
আমি একজন সাংবাদিক, আমি জাতির বিবেক, অন্যায়ের প্রতিবাদ করাই আমার কর্ম। অসিতের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে ভীতসন্ত্রস্ত তাই আমি বাধ্য হয়ে নানা জায়গায় অভিযোগ দাখিল করেছি।
তারই ধারাবাহিকতায় জেলাপ্রশাসন আমাকে ডেকেছে। আমি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সকল প্রমাণ দাখিল করেছি।
আশা করি, তদন্ত করে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। ” উল্লেখ্য যে, কালচারাল অফিসার অসিত বরিশালে যোগদানের পরেই দীর্ঘ সময় ধরে অবৈধভাবে রেস্ট হাউজে বসবাস করছেন, যেখান থেকে সরকার ও স্থানীয় ফান্ডের রাজস্ব ফাঁকি যাচ্ছে, হল রুম ভাড়া নিয়ে নানা অনিয়ম করছেন, স্থানীয় স্থানীয় ও সাধারণ ফান্ডের অর্থ নানা প্রোগ্রামের নাম করে আত্মসাৎ করছেন, নানা ব্যক্তির নাম দেখিয়ে অর্থ তুলেছেন অথচ তারা কেউ অর্থ পাইনি অথবা অর্থ কম দেয়া দেয়া।
এছাড়াও শিল্পকলায় জনসাধারণের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করেছেন, নিজস্ব দেয়া তৈরি করে তাদের মাধ্যমে শিল্পকলা পরিচালিত করছেন। যার কারণে বরিশালের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাকে দেয়া নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে।