রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুন্দ্রা কালিকাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচীত হওয়ার জন্য এক নম্বরে নাম প্রস্তাবের জন্য বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিরেন বাবুকে স্কুলে না যাওয়ার হুমকী দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সভাপতি প্রার্থী টগর গাজীর বিরুদ্ধে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার(১৫ মে) ভাইরাল একটি ভিডিও তে উক্ত শিক্ষকের সহধর্মিণী মির্জাগঞ্জ মাজার শরীফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছবি রানী খাসকেল এর সাথে কথোপকথনে উক্ত হুমকি প্রদান করেন।
ভিডিও তে তিনি ইউনিয়ন বিএনপি, উপজেলা বি এন পি এবং জেলা বি এন পির মনোনীত দলীয় প্রার্থী হিসেবে পটুয়াখালী জেলা বি এন পির সদস্য সচিব এবং মির্জাগঞ্জ উপজেলা বি এন পির সভাপতির নাম উল্লেখ করে স্কুলের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা এবং জমি দাতা দাবী করে তার নাম এক নম্বরে প্রস্তাব না করলে উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষককে নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয়ে না যেতে হুমকী প্রদান করে।
ভিডিও তে তিনি বলেন তার এক ভাই কর্নেল, এক ভাই মেজর এবং বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আই জি পি গাজী জসীম উদ্দীন তার পরিবারের এবং তাকে ই সমর্থন করবে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি নান্নু মুন্সী, ইউনিয়ন বি এন পির সভাপতি তোফাজ্জল গাজী এবং সাধারণ সম্পাদিকা ইরানী বেগম এ প্রতিবেদক কে বলেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে আমাদের দলীয় কোন মনোনয়ন নেই যদি কেউ দলীয় পরিচয় দিয়ে হুমকি দিয়ে থাকে আর সে যদি আমাদের কর্মী হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত এবং সাংগঠনিক ব্যাবস্হা নেয়া হবে।উক্ত বিষয়ে জেলা বি এন পির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টির মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করলেও ফোনটি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা জায়নি।
সুন্দ্রা কালিকাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিরেন বাবু বলেন আমি ইউ এন ওর অফিসে ছিলাম আমার সহধর্মিণীর বিদ্যালয়ে গিয়ে উক্ত হুমকি প্রদান করে।
হুমকির বিষয় আমি ইউ এন ও এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে মৌখিক ভাবে অবহিত করেছি। মির্জাগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান, হুমকির বিষয় টি আমাকে অবহিত করা হয়েছে এবং থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে বলে তাকে জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং প্রয়োজনীয় আইন গত ব্যাবস্হা নেবো। এবিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, হুমকি প্রদান কারী টগর গাজীর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন দলীয় পরিচয় কি দেয়া যাবে না বলে ঘটনার বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজী হয়নি।
এমনকি দৈনিক আনন্দ বাজার পত্রিকা জেলা প্রতিনিধিকে আইসিটি এ্যাক্টের মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন তিনি। এ ব্যপারে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো,আনোয়ার হোসেন বলেন,কোথায় এ ধরনের অভিযোগ আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। তবে প্রধান শিক্ষকে হুমকি ধামকির ব্যপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।