রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
মোঃ নাসির উদ্দিন, পটুয়াখালী সংবাদদাতাঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় চাঁদা না দেওয়ায় একটি দোকান ঘর ও গুদাম ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিল প্রতিপক্ষরা।
এছাড়াও আরও এলাকা ছাড়া ও হত্যার হুমকিও দিচ্ছে তারা।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে দক্ষিন পূর্ব গোলখালী মুচির সুলিজের কাছে। গত ১৮ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে দোকান ও গুদাম ঘরটি।
পুড়ে যাওয়া দোকান ঘরের মালিক আলাউদ্দিন প্যাদার ছেলে মো. সুমন প্যাদা। আর গুদাম ঘরটি হচ্ছে সততা ব্রিক ফিল্ডের।
এ বিষয়ে পুড়ে যাওয়া দোকান ঘরের মালিক মো. সুমন প্যাদা বলেন, আমাদের গ্রামের মৃত আমির আলী ফকিরের ছেলে শাহারুল ফকির, আ. রশিদ হাওলাদারের ছেলে খোকন হাওলাদার, মৃত. খালেক সরদারের ছেলে সবুজ সরদার এলাকায় মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে।
তারা প্রায় সময়ই আমাদের এলাকার মানুষের কাছে এবং আমার কাছেও চাঁদা দাবী করত। আমি চাঁদার টাকা দিতে না পারায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার দোকান ঘরটি পুড়িয়ে দিয়েছে।
এখন প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স সততা ব্রিক ফিল্ডের মালিক মো. নাসির মিয়া, মো. আনোয়ার, মো. জসিম উদ্দিন বলেন, শাহারুল ফকির, খোকন হাওলাদার, সবুজ সরদার সন্ত্রাসী লোকজন নিয়া প্রায় সময়ই আমাদের কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করত। চাঁদা না দিলে এলাকায় ব্যবসা করতে দিবে না এবং আমাদের ব্রিক ফিল্ড ও গুদাম ঘর গুড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দিত। তারা প্রায় সময় মাদকাশক্ত থাকত। আমরা ভয়ে কিছু বলতাম না।
কিন্তু তাদেরকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা না দেয়ায় আমাদের গুদাম ঘরটি তারা পুড়িয়ে দিয়েছে এবং ব্রিক ফিল্ড গুড়িয়ে এলাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। আমরা এর বিচার চাই। আমার তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করব।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, তারা এলাকায় মাদকের রাজত্ব কায়েম করেছে। এলাকায় চাঁদাবাজী করে এবং মানুষদের অপমান ও লাঞ্চিত করা তাদের নিত্য দিনের অভ্যাস। আমরা তাদের হাত থেকে রেহাই চাই। আজ তারা দোকানে ও গুদামে আগুন দিয়েছে।
অন্য দিন আমাদের বাড়ি ঘরেও আগুন দিতে পারে। আমার আইনের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
এ বিষয়ে সবুজ সরদার, শাহারুল ফকির এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই।
তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ খোকন হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কে বা কারা দোকানে আগুন দিয়েছে তা আমি জানি না। চাঁদার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম খান জানান, এ বিষয়ে আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।