শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
শামীম আহমেদ ঃ
পবিত্র ঈদুল আযহায় নদীপথে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে বরিশালে মাঠ পর্যায়ে
কাজ করছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ নদীবন্দর বরিশালে
নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি টহল অব্যাহত রেখেছে কোস্টগার্ড।
বরিশাল নদী বন্দর সূত্র জানিয়েছে, শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে বরিশাল নদী বন্দরে
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ ও ভোলামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।
আর সকাল থেকে নদীবন্দর
এলাকায় কোস্টগার্ডও তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
দক্ষিণজোন কোস্টগার্ডের বরিশাল স্টেশনের সিনিয়র র চিফ পেটি অফিসার মো. মকবুল
হোসেনের উপস্থিতিতে সদস্যরা রুট পারমিটসহ বিভিন্ন লঞ্চের চলাচলের ক্ষেত্রে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা করেছেন।
পাশাপাশি সার্ভে সনদ অনুযায়ী নিরাপত্তা
সরঞ্জাম রয়েছে কি না, তা যেমন পরীক্ষা করেছে, তেমনি লঞ্চে নিয়মানুযায়ী দক্ষ মাস্টার,
সুকানী, ড্রাইভারের উপস্থিতিও পরীক্ষা করেছেন।
এছাড়া বন্দরের প্রবেশমুখে অবস্থান
নিয়ে সন্দেহজনক ব্যক্তির ব্যাগও তল্লাশি করছে।
লঞ্চের মাস্টাররা জানিয়েছেন, কোস্টগার্ডের উপস্থিতির কারণে টার্মিনালে শৃঙ্খলা
ফিরেছে। কেউ নির্ধারিত সময়ের বেশি অপেক্ষা করে ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নেয়ার কথা
ভাবছেন না, ফলে দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কাও কম রয়েছে।
এদিকে যাত্রীরা বলছে, বর্ষার এ সময়টাতে নদী পথ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। তাই
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকলে ঈদ যাত্রা অনেকটাই নিরাপদ
থাকবে।
বরিশাল থেকে ভোলাগামী লঞ্চের যাত্রী কাইয়ুম হোসেন বলেন, বর্ষার এ সময়টাতে নদীতে
যেমন পানি বেশি রয়েছে, তেমনি বড় বড় নদীর মোহনায় উত্তাল ঢেউ থাকে।
ফলে লঞ্চে ধারণ
ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিলে দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা থাকে কিন্তু কোস্টগার্ডের উপস্থিতির
কারণে সবাই এ বিষয়ে সচেতন।
আবার দেখছি কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে চালকদের সতর্ক
করার পাশাপাশি যাত্রীদেরও সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে।
আবার তল্লাশির কারণে অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরাও সতর্ক থাকবে বলে
জানিয়ে কহিনুর বেগম নামে মেহেন্দিগঞ্জের যাত্রী বলেন, অপরাধীরা যাত্রীদের বিপদ
ঘটাতে গেলেও নিজেও বিপদে পড়তে পারে। তাই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এমন সতর্ক
অবস্থান সবসময় চাচ্ছি। যাতে আমাদের যাত্রাপথ নিরাপদ থাকে।
শামীম আহমেদ
বরিশাল,