রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আগামী ০৯ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দুমকী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারছেনা স্থানীয় প্রশাসন।
সংসদ সদস্য রুহুল আমিন হাওলাদার সরাসরি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ডক্টর হারুন অর রশীদের পক্ষ নেয়ায় এমন আশংকা করছেন প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীরা ও তাদের সমর্থকরা।
শুধু তাই নয় সংসদ সদস্যের সাথে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কালাম মৃধা ও সাধারন সম্পাদক সেলিম আকন মোটর সাইকেল প্রতীকের পক্ষে সক্রিয় অংশগ্রহন এবং তাদের প্রার্থীকে ভোট না দিলে উপজেলাবাসীর বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়া হবে বলে সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে ঘোষনাও দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কালাম মৃধা।
এনিয়ে কাপপ্রিজ মার্কা প্রতীক এর কাওসার আমিন হাওলাদার বলেন, মোটরসাইকেল মার্কার হারুন অর রশিদ হাওলাদার, (সংসদ সদস্য ১১১) এর এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এর ভাগ্নে হওয়ায় গাড়ি, জনবল, অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেন।
হারুন অর রশিদ হাওলাদার এর কর্মীদের দ্বারা আমার (কাপপিরিস প্রার্থী) কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে হামলার শিকার হন।
আমি সংকায় আছি আমার মৃত্যুর সংকা আছে, হুমকি ধামকি, নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল করে নেয়ার কথা বলছে ১ ভোট পেলেও তারা চেয়ারম্যান। এনিয়ে আমি একাধিক বার লিখিত অভিযোগ, থানায় এযাহার করেও স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছি।অতিব দুঃখের বিষয় কোনো সহযোগিতা পাইনি। এমপি রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রবাহিত হচ্ছে এতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আমি ও আমার কর্মীর কিছু হলে মৃত্যু হলে একমাত্র হারুন অর রশিদ হাওলাদার ও তার কর্মী সমর্থক দায়ী থাকবে।
এখনেই শেষ নয়, ক্যাম্পেইন করতে অস্বীকৃতি জানালে বর্তমান চেয়ারম্যান ও মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দের গরু ফেরত আনার মতো অভিযোগ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।বিষয়টা আমলে নিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তার নিরপেক্ষতার কোন ভুমিকা নেই আমাদের উপর হামলা আমাদের হুমকি আমাদের কর্মী আটক। এছাড়াও অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে ও চলছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া।
অথচ হারুন হাওলাদারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ০৩ জুন ২০২৪ তারিখে চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান মিজানের শোকাজের জবাব গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক যাদব সরকার। পরে গ্রহন করতে বাধ্য হলেও স্বশরীরে এসে জবাব দেয়ার পুন:নির্দেশন প্রদান করেন। যদিও অভিযোগটি ছিল ভিত্তিহীন।
হারুন হাওলাদারের লোকজন দিয়ে কয়েকজন লোকের বক্তব্য রেকর্ড করে জমা দেয়া হয় যেখানে তারা বলেন, মসজিদ ও মন্দিরে মেহেদী মিজান অনুদান প্রদান করেছেন।
যদিও এসব অনুদান দেয়া হয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে।অথচ ঘুর্ণিঝড় রিমেলে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণের নামে সহায়তা প্রদান করে চলেছেন সংসদ সদস্যের সমর্থনপুষ্ট হারুন হাওলাদার। শুধু তাই নয়, ত্রাণের বিনিময়ে ভোটের ওয়াদা নেয়ার অভিযোগ-ও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।উপজেলার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত থাকছেন সরকারি ভবনে থেকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশও নিচ্ছেন তিনি।
এমন প্রেক্ষাপটে আসন্ন ৯ জুনের নির্বাচনে প্রশাসন কতোটা প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে পারবেন বা করবেন সেই আশংকা প্রার্থী ও সমর্থকদের মাঝে। এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা যাদব সরকার মুঠোফোন এ প্রশ্নের কোনো সদত্তর না দিয়ে ফোন রেখে দেন।